রায়ে সন্তুষ্ট রিফাতের বাবা

0 160


চাঞ্চল্যকর রিফাত হত্যা মামলার রায় হয়েছে আজ। হত্যার মূল আসামি রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সহ প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির ৬ জনেরই মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। অপর চার আসামীকে অব্যহতি দিয়েছেন। রিফাতের বাবা আবদুল্লাহ হালিম দুলাল শরিফের সাথে কথা বলে জানা গিয়েছে এই রায়ে তিনি সন্তুষ্ট।

আজ (বুধবার) দুপুরে এ রায় ঘোষণার পর আদলত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রিফাতের বাবা।
তিনি বলেন, আমি কৃতজ্ঞ। সঠিক বিচার পাব বিশ্বাস ছিল। আমি ও আমার পরিবার সবাই খুশি। যারা এই রায়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি চাইনি কোনো নিরাপরাধ মানুষ কষ্ট পাক। যদি নিরপরাধ কেউ শাস্তি পান, তাহলে তাদের পরিবার আমার ছেলের জন্য বদদোয়া করবেন, এটা আমি চাই না।

বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান আজ এ মামলার রায় দেন। রিফাতের স্ত্রী মিন্নি ও মামলার ৭ নম্বর আসামীকে সকাল সাড়ে ৯ টা এবং বাকি ৮ আসামীকে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে কারাগারে আনা হয়। তারা হলেন- রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান, মো. মুসা, আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর ও কামরুল ইসলাম সাইমুন। অপর এক আসামি মুসা পলাতক রয়েছেন।

২০১৯ সালের ২৬ জুন আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটে শত শত লোকের উপস্থিতিতে স্ত্রীর সামনে রিফাত শরীফ(২৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ঘটনার পরদিন রিফাতের বাবা বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৫-৬ জনের নামে মামলা করে

২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে শত শত লোকের উপস্থিতিতে স্ত্রীর সামনে রিফাত শরীফকে (২৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ভাইরাল হয়। ঘটনার পরদিন ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও পাঁচ-ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ। ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুইভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়। মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনও পলাতক।
জিএ

Leave A Reply

Your email address will not be published.