উপুড় হয়ে ঘুমানো নিয়ে যা বলে ইসলাম

0 930

অনলাইন ডেস্ক:

ঘুম হলো মহান আল্লাহর নিয়ামত। সুস্থ থাকতে ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। ঘুমের সমস্যা যাদের তারাই কেবল জানেন এটা কত মূল্যবান নেয়ামত।

আমরা অনেকেই উপুড় হয়ে ঘুমাতে পছন্দ করি। এটি অভ্যাসে পরিণত হওয়ায় উপুড় হয়ে না ঘুমালে অনেকের ঘুমই আসে না। কিন্তু এই অভ্যাসটা কিন্তু মোটেই ভালো নয়। উপুড় হয়ে ঘুমানো সাময়িক আরামদায়ক মনে হলেও এর কারণে মেরুদণ্ড, শ্বাসপ্রশ্বাস, শরীরের বিশ্রাম ও ঘুমের ওপরও প্রভাব পড়তে পারে।

উপুড় হয়ে শুতে আমাদের প্রিয় নবী রাসুল (সা.) নিষেধ করেছেন। এর কারণ হিসেবে হাদিস শরিফে দুটি বিষয়কে চিহ্নিত করা হয়েছে। এক. মহান আল্লাহ এভাবে শোয়া পছন্দ করেন না। দুই. এটি জাহান্নামিদের শোয়া। জাহান্নামিদের উপুড় করেই জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।

ইবনে তিখফা আল-গিফারি (রহ.) থেকে বর্ণিত, তার বাবা তাঁকে অবহিত করেন যে তিনি ছিলেন আসহাবে সুফফার সদস্য। তিনি বলেন, একদা শেষ রাতে আমি মসজিদে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলাম। আমি উপুড় হয়ে ঘুমে বিভোর অবস্থায় একজন আগন্তুক আমার নিকট এলেন। তিনি আমাকে তাঁর পায়ের সাহায্যে নাড়া দিয়ে বলেন, ওঠো! এই উপুড় হয়ে শুলে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন। আমি মাথা তুলে দেখি যে রাসুল (সা.) আমার শিয়রে দাঁড়িয়ে। (আদবুল মুফরাদ, হাদিস : ১১৯৯)

অপর হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, আবু জর (রা.) বলেন, আমি উপুড় হয়ে শুয়ে থাকা অবস্থায় নবী (সা.) আমার পাশ দিয়ে গেলেন। তিনি আমাকে তাঁর পা দ্বারা খোঁচা মেরে বলেন, হে জুনাইদিব! এটা তো জাহান্নামের শয়ন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৭২৪)

রাসুল (সা.)-এর বাণী—‘এটা তো জাহান্নামের শয়ন’—এর পক্ষে পবিত্র কুরআনের আয়াতও পাওয়া যায়।

পবিত্র কুরআনে জাহান্নামিদের প্রতি ইরশাদ হয়েছে, ‘যেদিন তাদের উপুড় করে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে জাহান্নামের দিকে; সেদিন বলা হবে, জাহান্নামের যন্ত্রণা আস্বাদন করো। ’ (সুরা : কমার, আয়াত : ৪৮)।

সুতরাং আমাদের উচিত, আল্লাহ এবং তাঁর রাসুল যেভাবে শোয়া পছন্দ করেন না, সেভাবে শোয়া থেকে বিরত থাকা। ইনশাআল্লাহ, এতে আমাদের দুনিয়া-আখিরাত উভয় জাহানে কল্যাণ হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.