করোনাজয়ীদের প্লাজমা সংগ্রহ করে চড়া দামে বিক্রি, একজন আটক
করোনা জয়ীদের কাছ থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করে চড়া দামে বিক্রির সময় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে প্লাজমা নিতে গেলে তাকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে কয়েকজনের কাছে প্লাজমা বিক্রির কথা জানিয়েছে আটক আহসানুল ফরিদ।
মহামারির মধ্যে গুরুতর রোগীদের করোনা থেকে সেরে উঠতে প্রয়োজন পরে করোনা জয়ীর অ্যান্টিবডি সমৃদ্ধ রক্তরস বা প্লাজমা। আর সেই প্লাজমা স্বেচ্ছায় সংগ্রহ করে দেয়ার নামে অনলাইনে শুরু হয়েছে প্লাজমা বাণিজ্য।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত জাহিদুর রহমানের বাবা স্কয়ার করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি থাকায় তিনিও প্লাজমা সন্ধান করছিলেন। একটি অনলাইন পেজে নাম্বার পেয়ে যোগাযোগ করেন আহসানুল ফরীদের সঙ্গে। কথা হয় এক ব্যাগ প্লাজমা দিবেন বিনিময়ে দিতে হবে ১৫ হাজার টাকা।
ভুক্তভোগী জানান, ওনি আমার সাথে যোগাযোগ করেন। বলেছেন, শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে রয়েছে। এটার প্রসেসিংয়ে ১২ হাজারের টাকা বেশি লাগবে।
দেশে হাসপাতালগুলোর মধ্যে রোগীদের প্লাজমা সংগ্রহে সবচেয়ে কম খরচ পরে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। শনিবার দুপুরে এই হাসপাতাল থেকে মাত্র ৩ হাজার টাকায় প্লাজমা নিয়ে ১৫ হাজারে বিক্রির সময় হাতে নাতে আহসানুল ফরিদকে আটক করে পুলিশ। হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা জানান এর আগেও হাসপাতাল থেকে দুইবার প্লাজমা নিয়েছে ফরিদ।
শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ব্লাড ট্রান্সফিউশ বিভাগের সহকারী ডা. আশরাফ হক বলেন, মোবাইল ফোনে বিভিন্নভাবে কথা বলে প্লাজমা নিয়েছেন। পরে যে হাসপাতালে ঠিকানা দিয়েছেন, সেখানে যোগাযোগ করা হয়। পরে জানা যায়, তিনি ব্যবসায়ের জন্য এটি চালু করেছেন।
এদিকে, এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি প্রতারণা মামলা করা হয়েছে।
ডিএমপি রমনা জোনের সহকারী কমিশনার এস এ শামীম বলেন, সে (ফরিদ) এখন পর্যন্ত দুই জনের জন্য প্লাজমা নিয়েছেন। এবং বেশি টাকা নিয়েছেন; সেটা স্বীকার করেছেন। তবে, এর আগে কতজনের সাথে করেছেন সেটি স্বীকার করেননি।
পুলিশ জানায়, এ ধরনের প্রতারককে ধরতে জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে।