কর হার নয়, দেশে করদাতার সংখ্যা বাড়াতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

0 113

অনলাইন ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা কর হার বাড়াতে চাই না। করদাতার সংখ্যা বাড়াতে হবে।’ এসময় করফাঁকি বন্ধে ডিজিটাল পদ্ধতি প্রয়োগেরও নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আজ রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুদিনব্যাপী জাতীয় রাজস্ব সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনীম এবং সদস্য ড. আব্দুল মান্নান শিকদার বক্তৃতা করেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য প্রদ্যুৎ কুমার সরকার ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানে এনবিআরের কার্যক্রমের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। সম্মেলন উপলক্ষে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট), শুল্ক ও আয়কর বিষয়ক তিনটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

প্রধানমন্ত্রী সম্মেলন উদ্বোধন শেষে স্টলসমূহ এবং রাজস্ব মিউজিয়াম পরিদর্শন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জোর জুলুম না করে উদ্বুদ্ধকরণ ও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে কর আদায় করতে হবে। মানুষকে কোনো ভয়-ভীতিকর পরিস্থিতিতে ফেলা যাবে না। কর প্রদানে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তাদের জানাতে হবে আপনার কর, আপনাদের কাজেই লাগে। সরকারের উন্নয়নের সুফল ভোগ করছে জনগণ। যারা সুফল ভোগ করছে তাদের তো কিছু দিতে হবে। রাষ্ট্র এমনি এমনি দিতে পারে না। আর অন্যের কাছে আমরা হাত পাতবো না।’

আমাদের দেশে আয়কর প্রদানকারীর সংখ্যা খুবই কম উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন যেহেতু মূল্যস্ফীতি বেশি, প্রত্যেক মানুষের ওপর অতিরিক্ত চাপ। এক্ষেত্রে করহার বৃদ্ধি না করে করহার যৌক্তিক করতে হবে। করজাল বাড়াতে হবে, ই-টিআইএন গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। আমি মনে করি, এখানে কোনো জোর খাটবে না। কর ফাঁকি দেওয়ার যাদের প্রবণতা আছে, সর্বক্ষেত্রে ডিজিটাল সিস্টেম হয়ে গেলে কেউ আর ফাঁকি দিতে পারবে না। আয়করের পরিমাণ এমন রাখতে হবে যেন প্রত্যেকেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে দিতে পারে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন করদাতার সক্ষমতা কিন্তু উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আছে। সেখানে রাজস্ব বোর্ডের প্রচারণা দরকার। যাদের কর দেওয়ার সামর্থ্য আছে, আপনারা দয়া করে দেবেন। যেটা আপনাদের সেবায় সরকার কাজে লাগাবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন কেউ আর কুঁড়েঘরে বাস করে না। প্রত্যেককে বিনা পয়সায় ঘর দিচ্ছি, দুই কাঠা করে জমি দিচ্ছি। জীবন জীবিকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি, আর্থিক সহায়তা দিচ্ছি। পাশাপাশি ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.