মরিস ঝড়ে রাজস্থানের প্রথম জয়

0 180

ক্রীড়া প্রতিবেদক

কাটার মাস্টার মুস্তাফিজের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার ক্রিস মরিস ঝড়ে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৩ উইকেটে হারিয়ে আসরে প্রথম জয় তুলে নিলো রাজস্থান। ১৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৭ রান সংগ্রহ করে দিল্লি ক্যাপিটালস। জবাবে ২ বল এবং ৩ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রাজস্থান।

১৪৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে দলীয় ১৩ রানে এক বলের ব্যবধানে রাজস্থানের ভোহরা (৯) ও বাটলারকে (২) সাজঘরে ফেরান ওকস। পরের ওভারে আগের ম্যাচে দুর্দান্ত সেঞ্চুরিয়ান স্যামসনকে এবার ৪ রানে ফেরত পাঠান রাবাদা। ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান শিভাম দুবে (২) ও রিয়ান পরাগও (২)। ৪২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চোখে মুখে যখন অন্ধকার দেখছে রাজস্থান তখন জ্বলে উঠল মিলার ও রাহুল তেওয়াতিয়ার ব্যাট। এই দুজনের জুটি থেকে আসে ৪৮ রান। ১৪.৫ ওভারে দলীয় ৯০ রানে মাথায় ব্যক্তিগত ১৭ বলে ১৯ রান করা তেওয়াতিয়াকে ললিত যাদবের তালুবন্দি করেন রাবাদা। এরপর ১৫.৫তম ওভারে আভেষকে ছক্কা মারতে গিয়ে ললিত যাদবকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ৪৩ বলে ৬২ রান করা মিলার। দলীয় স্কোর তখন ৭ উইকেটে ১০৪ রান। ম্যাচভাগ্য দিল্লির দিকে ঝুঁকছে। এ অবস্থায় জয়দেব উনাদকাদ নিয়ে ব্যাটে ঝড় তুলতে শুরু করেন ক্রিস মরিস।

শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য রাজস্থানের প্রয়োজন ২৭ রান। ১৯তম ওভারে কাগিসো রাবাদাকে ২ ছক্কায় উড়িয়ে ১৫ রান নেন মরিস। শেষ ওভারে ১২ রান দরকার। বোলার টম কারান। প্রথম বলে দুই রান নেয়ার পর দ্বিতীয় বলে ছক্কা মারেন মরিস। পরের বলে ডট। চতুর্থ বলে ছক্কা মেরে রাজস্থানের জয় নিশ্চিত করেন ১৬ কোটি রুপির মরিস। ১৮ বলে ৩৬ রানে মরিস এবং ৭ বলে ১১ রানে অপরাজিত ছিলেন উনাদকাদ ।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে উনাদকাদের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি দিল্লির ব্যাটসম্যানরা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে গেল ম্যাচের হাফ সেঞ্চুরিয়ান পৃথ্বীকে ২ রানে ডেভিড মিলারের ক্যাচ বানান উনাদকাদ। পরের ওভারে ফেরান বাঁহাতি এই পেসার আরেক হাফ সেঞ্চুরিয়ান ধাওয়ানকেও। ধাওয়ান এদিন করেন ৯ রান। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে নিজের হাতেই ক্যাচ বানিয়ে আজিঙ্কা রাহানেকে ফেরান তিনি। এরপর ষষ্ঠ ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ৩৭ রানে মার্কোস স্টয়নিসকে সাজঘরে ফেরান কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ।

এরপর অভিষিক্ত ললিত যাদবকে নিয়ে শুরুর বিপর্যয় সামাল দেন ঋষভ পান্ত। এই দুজনে করেন ৫১ রান। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন পান্ত। ১২.৪ ওভারে দলীয় ৮৮ রানে ৫১ রান করে রান আউট শিকার হয়ে ফেরেন পান্ত। এরপর ২০ বলে ২০ রান করে দলীয় ১০০ রানে ক্রিস মরিসের বলে সাজঘরে ফেরেন ললিতও। শেষ দিকে দ্রুতগতিতে রান তুলেছেন কারান। ১৮.২ ওভারে তাকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান মুস্তাফিজ। শেষ দিকে ওকসের ১৫ রানে  নির্ধারিত ৮ উইকেটে ১৪৭ রান তুলে দিল্লি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.