চট্টগ্রামের ব্যবসা-বাণিজ্যের অগ্রগতি ঠেকাতে তৎপর একটি মহল-স্পট হোল্ডিং ট্যাক্স-ট্রেড লাইসেন্স প্রদান অনুষ্ঠানে সুজন

0 195

চট্টগ্রাম সংবাদঃ মোঃ রুবেল- চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন,‘বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত’ চট্টগ্রামের ব্যবসা বাণিজ্যের সম্ভাবনা ও অগ্রগতি ঠেকাতে একটি মহল সব সময় তৎপর। তাদের এই অপতৎপরতা রুখে দিতে হবে। জাতীয় খাতে রাজস্ব আয়ের সিংহভাগের যোগানদাতা চট্টগ্রামের ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা ছিনিয়ে নেয়ার এই পরিকল্পনাকে নস্যাৎ করে দিতে হবে। সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সদর দপ্তর ঢাকায় স্থানান্তরের কারণে চট্টগ্রাম এখন ব্যবসা-বাণিজ্যে ক্রমাগত পিছিয়ে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর একান্ত ইচ্ছায় চট্টগ্রামে উড়াল সেতু, কর্ণফুলীর তলদেশে ট্যানেল, মহেশখালীতে গভীর সমুদ্র বন্দর, বে-টার্মিণাল নির্মাণের পাশাপাশি ঘুনধুম থেকে মিয়ানমার হয়ে চীন পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের যে প্রক্রিয়া চলছে, তা সম্পন্ন হলে চট্টগ্রামের সাথে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও সার্কভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর সাথে আন্তঃসম্পর্ক বা ইন্টার কানেক্টিভিটি বৃদ্ধি পাবে। এতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে যুক্ত হয়ে চট্টগ্রাম ও দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধির পথে যাত্রা করবে। এই অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবেনা। তাই নগরীর উন্নয়ন, আলোকায়ন,পরিচ্ছন্নতার স্বার্থে নগরবাসীকে পৌরকর প্রদান করতে হবে।

তিনি আজ বুধবার সকালে নগরীর পাথরঘাটাস্থ আনসার ক্লাব সংলগ্ন চসিক রাজম্ব সার্কেল-৩ এর স্পট হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। রাজস্ব কর্মকর্তা শাহেদা ফাতিমা চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মোহাম্মদ ছগির আহমেদ, বিপনী বিতান ব্যবসায়ী ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ছগির, পাথর ঘাটা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী পুলক খাস্তগীর, আল মাদানী দাতব্য চিকিৎসালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. হাজেরা নাজনীন, কর-কর্মকর্তা (লাইসেন্স) জানে আলম, কর- কর্মকর্তা (কর) মেজবাহ উদ্দীন, উপ-কর কর্মকর্তা অতিকুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

প্র্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন, নগরবাসী হলেন এই শহরের মালিক। নগরীকে সুন্দর পরিচ্ছন্ন বাসযোগ্য রাখতে নগরবাসীর দায়িত্ব রয়েছে। কর্পোরেশনের প্রধানতম আয়ের খাত হলো পৌরকর। এই কর না দিলে কিভাবে নগরীর উন্নতি হবে ? আমরা ডিসেম্বর মাসজুড়ে সারচার্জ ছাড়া পৌরকর ও ট্রেড লাইসেন্স প্রদানের ব্যবস্থা করেছি। আশা করি নগরবাসী এই
সুযোগ গ্রহণ করবেন। জানুয়ারি থেকে আর এই সুযোগ থাকবে না । আমরা ভোগান্তি কমাতে স্পটে পৌর কর ও লাইসেন্স প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছি। এখন আর নগরবাসী বলতে পারবেন না কর আদায়কারীরা কর নিতে
বাসায় যান না।

চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মোহাম্মদ ছগির আহমেদ বলেন চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীতে ওজন স্কেল বসানো হলো। অথচ দেশের কোথাও সড়কে ওজন স্কেল নাই। ওজন স্কেলের কারণে ১৭ টনের উপরে কোন ট্রাক, ট্যাংক-লরি চট্টগ্রাম শহরে মালামাল নিয়ে চলাচল করতে পারে না। তিনি ঢাকার দিকে চেয়ে না থেকে নগরীর উন্নয়নের স্বার্থে নগরবাসীকে পৌরকর প্রদান করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি একজন যোগ্য লোককে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক করেছেন। তিনি চট্টগ্রাম নগরীর জন্য যা করেছেন অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।

পরে প্রশাসক বিভিন্ন গ্রাহককে কর প্রদানের রশিদ প্রদান করেন। এর মধ্যে যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কর প্রদান করেন সেগুলো হলো বুক-কো অপারেটিভ সোসাইটি ৩ লাখ ১০ হাজার ১৪৪ টাকা, পশ্চিম বাকলিয়ার মো.সাহেব মিয়া ১ লাখ ৭ হাজার ২’শ ৯২ টাকা, কোরবানীগঞ্জের আজিজ আহম্মদ চৌধুরী ৩১ হাজার ৮’শ ৯৫ টাকা প্রদান করেন। এছাড়াও সমাজসেবক সোলায়মান সুমন কর্তৃক স্থাপিত পাথরঘাটায় মানব সেবামূলক সংগঠন হাসির উদ্যোগে স্থাপিত সুপেয় পানির মেশিনের উদ্বোধন করেন প্রশাসক।

Leave A Reply

Your email address will not be published.