সড়কে পিতার সামনে ঝরল পুত্রের প্রাণ

0 139

বরগুনার আমতলী-পটুয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের কেওয়াবুনিয়া নামক স্থানে পিতার চোখের সামনে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে পুত্র তাসকিনের (৫) মৃত্যু হয়েছে। নিহত শিক্ষার্থী পটুয়াখালীর বাঁধঘাট এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেনের ছেলে এবং কেওয়াবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

গত রবিবার (২০ মার্চ) নিহত তাসকিনের বাবা তার ছেলেকে স্কুল থেকে বাড়ীতে নিয়ে আসতে যায়। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্কুল ছুটি হওয়ার পরে তাসকিন আমতলী-পটুয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশ দিয়ে পায়ে হেটে তার বাবার কাছে যাওয়ার সময় সড়কে চলাচলরত একটি দ্রুতগামী অজ্ঞাত যাত্রাবাহী বাস তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই বাবার চোখের সামনে ছেলের মৃত্যু হয়। সংবাদ পেয়ে আমতলী ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

নিহত শিক্ষার্থী তাসকিনের বাবা আবুল হোসেন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার ছেলে তাসকিন আমাকে দেখেও আমার কোলে উঠতে পারল না। আমার চোখের সামনে ঘাতক বাসটি আমার সন্তানকে চাপা দিয়ে পালিয়ে গেছে। আমি এখন কি নিয়ে বাঁচব।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, দুর্ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

জানা গেছে, নিহত তাসকিনের বাবা আবুল হোসেন বিয়ে করেছেন আমতলী উপজেলার পূর্ব কেওয়াবুনিয়া গ্রামের নূর মোহাম্মদ গাজীর মেয়ে তানিয়া বেগমকে। তাসকিন তার মায়ের সঙ্গে নানা বাড়ীতে থেকে আমতলী-পটুয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক লাগোয়া কেওয়াবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে লেখাপড়া করেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.