শীতলক্ষ্যায় ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধার

0 125

দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টা চেষ্টার পর অবশেষে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে ডুবে যাওয়া এম এল আফসার উদ্দিন নামে লঞ্চটি উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ সোমবার (২১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধারের পর নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার কাশিপুর খালের উত্তর পাড়ে রাখা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ নৌথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মনির তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

এ দিকে উদ্ধারের পর লঞ্চের ভেতরে কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি। এ কারণে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমের কাছে নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিএর জনসংযোগ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।

এর আগে রবিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। যদিও রাতের মতো তল্লাশি অভিযান স্থগিত রাখেন উদ্ধারকর্মীরা।

এর আগে ঘটনার দিন দুপুর আড়াইটার দিকে মুন্সিগঞ্জগামী এম এল আফসার উদ্দিন নামে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চকে সিটি গ্রুপের এম ভি রুপসী-৯ নামের কার্গো জাহাজ ধাক্কা দিলে মুহূর্তের মধ্যেই নৌযানটি ডুবে যায়। লঞ্চডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন নারী, দুইজন শিশু ও একজন বৃদ্ধ রয়েছেন। এ ঘটনায় এখনো অন্তত সাতজন নিখোঁজ রয়েছেন।

উদ্ধার করা মরদেহগুলোর মধ্যে তিনজনের পরিচয় এরই মধ্যে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা হলেন- মুন্সিগঞ্জের ইসলামপুর এলাকার মৃত জুলফিকার আলীর ছেলে জয়নাল (৫৫), মুন্সিগঞ্জের দিন ইসলামের স্ত্রী আরিফা বেগম (৩৫) ও তার ১৫ মাস বয়সী ছেলে সন্তান সাফায়েত।

এ দিকে লঞ্চডুবির ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদেরকে সোমবারের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে অনুদানও দেওয়া হবে।

নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাম্মদ শামীম বেপারীকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের সোমবারের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। লঞ্চ ডুবে যাওয়ার কারণ, কারা দোষীসহ সব কিছু উল্লেখ করতে বলা হয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.