চীনের ভ্যাকসিন উৎপাদন বাংলাদেশে : রাষ্ট্রদূত

0 127

নিজস্ব প্রতিবেদক :

চীনের ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী কোম্পানি আর অ্যান্ড ডি বাংলাদেশকে অংশী করে টিকা উৎপাদনের জন্য কাজ করছে। ভবিষ্যতে চীনের টিকা বাংলাদেশেই উৎপাদিত হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত হুয়ালং ইয়ান। মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সকালে তিনি তার ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হুয়ালং ইয়ান বলেছেন, চীন এ পর্যন্ত প্রায় ১০০টি দেশে ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে এবং কোভ্যাক্সের আওতায় প্রথম ব্যাচে আরও এক কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করবে। অনেক উন্নয়নশীল দেশেই চীনের ভ্যাকসিন প্রথমে পেয়েছে। চীন বহু উন্নয়নশীল দেশের সঙ্গে যৌথ গবেষণা ও উন্নয়ন ও সমবায় উৎপাদন পরিচালনা করেছে এবং তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়াল পরিচালনায় বিদেশি সংস্থাগুলোকে সহযোগিতা করার জন্য সমর্থন করেছে।

চীনা ভ্যাকসিনগুলো, যার মধ্যে সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা ব্যাপকভাবে স্বীকৃত, আন্তর্জাতিক মহলে বেশ সুনাম অর্জন করেছে। সুরক্ষা ও কার্যকারিতা বিবেচনায় চীনের ভ্যাকসিন আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত। এর আগে বাংলাদেশ চীন তৈরি সিনোফর্ম এবং কোভ্যাক্সের ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে।

চলতি মাসে সিনোফার্মের মোট ৩০ লাখ ডোজ করোনার টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে ১৯ জুন চীন থেকে উপহার হিসেবে ১১ লাখ ডোজ টিকা পেয়েছিল বাংলাদেশ। সিনোফার্মের কাছ থেকে সরকার দেড় কোটি টিকা কেনার চুক্তি করেছে। এরমধ্যে ৩০ লাখ ডোজ বাংলাদেশে এসেছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার সাংবাদিকদের জানান, আপাতত নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে যখন চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে ওষুধ কোম্পানির চূড়ান্ত চুক্তি হবে তখন অর্থ ছাড়ের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে।রাশিয়ার স্পুটনিক-৫ এবং চীনের সিনো ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ২২ এপ্রিল রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে করোনার টিকা উৎপাদনের জন্য চুক্তি সই করে বাংলাদেশ। তবে যৌথভাবে টিকা উৎপাদনের পাশাপাশি দেশটি থেকে বাণিজ্যিকভাবেও টিকা কিনবে বাংলাদেশ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.