শাহবাজ ঘূর্ণিতে ব্যাঙ্গালুরুর টানা দ্বিতীয় জয়

0 202

ক্রীড়া প্রতিবেদক

শেষ ৪ ওভারেসানরাইজার্স হায়দরাবাদের দরকার মাত্র ৩৪ রান। অধিনায়ক বিরাট কোহলি তখনই বল তুলে দেন অখ্যাত শাহবাজ আহমেদের হাতে। বল হাতে নিয়ে ওই ওভারে ৩
উইকেট তুলে নিয়ে অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দেন। বদলের দেন ম্যাচের ভাগ্য। তার ঘূর্ণিতেই বুধবার (১৪ এপ্রিল) হায়দরাবাদকে ৬ রানে হারিয়ে দ্বিতীয় জয় পেয়েছে ব্যাঙ্গালুরু।
চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে আইপিএলের চলতি আসরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ব্যক্তিগত ৫৯ রানে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৯ রান সংগ্রহ করে ব্যাঙ্গালুরু। জবাবে খেলতে নেমে ২০ ওভার খেলে ৯ উইকেটে ১৪৩ রান তুলতে সক্ষম হয় ওয়ার্নারের দল হায়দরাবাদ। এই নিয়ে টানা ২ জয়ে আইপিএলের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এলো ব্যাঙ্গালুরু। অন্যদিকে টানা ২ ম্যাচে হেরে টেবিলের সপ্তম স্থানে হায়দরাবাদ।

১৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে হায়দরাবাদের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত । শুরুতে দলীয় ১৩ রানের মাথায় উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহা ৭ বলে ১ রান করে হতাশ হয়ে ফিরে গেলেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলকে জয় দেখছিলেন ওয়ার্নার ও মনিশ। ১১ ওভারেই এই জুটি তুলে নেন ৮৩ রান। ১৩.২ ওভারে দলীয় ৯৬ রানে ডেভিড ওয়ার্নার ৩৭ বলে ব্যক্তিগত ৫৪ রানে জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে জেমিসনের বলে ক্রিশ্চিয়ানের তালুবন্দি হয়ে ফিরে আসলেও রানের চাকা সচল রাখছিলেন বেয়ারস্টো ও মনিশ পান্ডে। ১৬ ওভার শেষে হায়দরাবাদের দলীয় স্কোর ছিল ২ উইকেটে ১১৫ রান । কিন্তও এরপরই মূলত পথ হারিয়ে ফেলে হায়দরাবাদ।
অধিনায়ক বিরাট কোহলি বল তুলে দেন শাহবাজের হাতে। ওভারের প্রথম বলেই হার্শাল প্যাটেলের অসাধারণ ক্যাচে বিদায় নেন জনি বেয়ারস্টো (১২)। পরের বলেই ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বল উপরে উঠে যায় উইকেটরক্ষক ডি ভিলিয়ার্স অনেকটা দৌড়ে গিয়ে তালুবন্দি করে মাঠছাড়া করেন মনীশকে। যাওয়ার আগে তিনি খেলেন ৩৯ বলে ৩৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। মনীশের বিদায়ের পর ক্রিজে নামা আব্দুল সামাদ শাহবাজকে হ্যাটট্রিক বঞ্চিত করলেও ওভারের শেষ বলেই বোলার তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফিরে আসেন।
হার্শালের করা পরের ওভারে বিজয় শঙ্কর (৩) বিদায় নিলে মূলত ব্যাঙ্গালুরর জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যা। জেসন হোল্ডারও (৪) দ্রুত বিদায় নেন। তবে তখনো আফগান রশিদ খান ক্রিজে থাকায় কিছুটা আশা দেখছিলেন ওয়ার্নাররা।
শেষ ওভারে জিততে হায়দরাবাদের দরকার ছিল ১৫ রান। হার্শালের করা ওভারের তৃতীয় বলটি হয় নো বল, চার মেরে প্রত্যাশা বাড়িয়ে দেন আফগান স্পিনার। কিন্তু ফ্রি হিটে কোনো রান নিতে পারেননি তিনি। পরের বলে রশিদ রান আউট হলে শেষ হয় হায়দরাবাদের আশা। পঞ্চম বলে নটরাজন শাহবাজ আহমেদের ক্যাচে পরিণত হন। শেষ বলে আসে ১ রান।
ব্যাঙ্গালুরর হয়ে শাহবাজ ২ ওভারে মাত্র ৭ রান খরচে নেন ৩ উইকেট। ২টি করে সিরাজ ও হার্শাল এবং ১টি উইকেট পান জেমিসন
এর আগে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৯ রানেই ওপেনার দেবদূত প্যাটেলের (১১) উইকেট হারায় ব্যাঙ্গালুরু। এরপর শাহবাজও (১৪) বেশিদূর এগোতে পারেননি। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এসে হাল ধরলে ৪৪ রানের জুটি পায় ব্যাঙ্গালুরু। দলীয় ৯১ কোহলি ২৯ বলে ৩৩ রান করে ফেরার পরের ওভারে এবি ডি ভিলিয়ার্সও (১) রশিদ খানের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হলে হাত খুলে খেলে ম্যাক্সওয়েল দলীয় স্কোর নিয়ে যান ১৪৯ রানে । ৪১ বলে ৫৯ রান করে তিনি আউট হন শেষ বলে। হায়দরাবাদের হয়ে হোল্ডার ৩টি এবং রশিদ খান দুটি উইকেট নেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.