আবারও বাড়ছে চালের দাম, নিয়ন্ত্রণে নেই চালের বাজার

0 216

দেশে আবারও বাড়তে শুরু করেছে চালের দাম। দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে বেসরকারিভাবে চাল আমদানিতে শুল্ক কমানো হয়। কিন্তু তাতেও কাজ হচ্ছে না। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। নিয়ন্ত্রণে নেই চালের বাজার।

চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত ২৭ ডিসেম্বর আমদানি শুল্ক কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করে সরকার। এর আগে চালের আমদানি শুল্ক ছিল ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ। । এদিকে আবারও ১০ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ টন চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়।

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারিভাবে মোট ১০ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ টন চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গত ৩ জানুয়ারি ১০ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ পাঁচ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। পরের দিন ৪ জানুয়ারি আরও ১৯ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ ২৫ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়।

তিন শতাধিক প্রতিষ্ঠানকে মোট ১০ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ টন চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হলেও এলসি খোলা হয়েছে ছয় লাখ ৮৫ হাজার ৬৬৯ টনের। এখন পর্যন্ত বেসরকারিভাবে দেশে এসেছে তিন লাখ ১২ হাজার টন চাল। সরকারি পর্যায়ে এসেছে আরও এক লাখ ২১ হাজার টন চাল।

আগের তুলনায় আমদানি শুল্ক কমানোর ঘোষণার পর চালের দাম কিছুটা কমে। পরবর্তীতে তা আবারও বাড়তির দিকে। নতুন করে কেজিতে চালের দাম বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চিকন চাল কেজিপ্রতি ৬৫-৬৭ টাকা এবং মোটা চাল ৪৮-৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গত বছরের এ সময়ে যে চাল ৫০ টাকা কেজিতে পাওয়া যেত, সে চালের দাম এখন ৬০ টাকা। অর্থাৎ বছর ব্যবধানে ১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে চাল। টিসিবির তথ্যানুযায়ী, গত এক বছরে চিকন চালের দাম ১৩ শতাংশ এবং মোটা চালের দাম বেড়েছে ৩৭ শতাংশ। মাঝারি চালের দাম বেড়েছে ১৭ শতাংশ।

রমজান আসলেই অসাধু ব্যবসায়ীরা চাল থেকে শুরু করে সবধরণের ভোগপণ্যের দাম বাড়াতে থাকে। ক্রেতারা বলছে, বাজার পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে অসাধু চক্রকে দমন করা হোক। তাহলে মানুষের জীবনযাপন করতে সহজ হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.