বুলেট ট্রেনে বাংলাদেশ

0 222

উন্নত প্রযুক্তির হাইস্পিড বুলেট ট্রেন আসছে দেশে। উন্নয়ের ধারা অব্যহত রেখেই দেশের রাজধানীতে চালু হচ্ছে মেট্রোরেল। বৃহত্তর পরিসরে দেশের জনগণকে যাতায়াত সুবিধা দিতে এবার মেট্রোরেলের পরেই ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চালু হবে দ্রুতগতির বুলেট ট্রেন।

ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী  সোনার বাংলায় যাতায়াত করতে সময় লাগে প্রায় ছয় ঘণ্টা। উচ্চগতির বুলেট ট্রেন চালু হলে সেখানে সময় লাগবে মাত্র ৫৫ মিনিট। প্রস্তাবিত রেলপথে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, ফেনী, পাহাড়তলী ও চট্টগ্রামে স্টেশন রাখা হবে। এসব স্টেশনে বিরতির উপর ট্রেনের যাতায়াত সময় আরো ২০ মিনিট বাড়তে পারে। ট্রেনটি ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটার গতিতে চলবে। লক্ষ্য অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন করা গেলে প্রতিদিন বুলেট ট্রেন ব্যবহার করেই এ রুটে ৫০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা যাবে।

প্রস্তাবিত স্টেশনের নকশা।

হাইওয়ে রোডের মতোই প্রচুর যাত্রী যাতয়াত করে ট্রেন রুটে। বর্তমানে ট্রেনযোগে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় যেতে সময় লাগে প্রায় ছয় ঘণ্টা। এবার ট্রেন রুটেই আসছে উন্নত প্রযুক্তির হাইস্পিড ট্রেন। ইতোমধ্যে প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাই কাজও শেষ হয়েছে। আগামী জুনের মধ্যে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) তৈরির কাজ শেষ হবে। চলতি বছরের যেকোনো সময় প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উত্থাপন হতে পারে। ইতিমধ্যে প্রকল্পটির নকশার কাজও শেষ হয়েছে। দ্রুতগতির এই ট্রেন চালু হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ৯০ কিলোমিটার দূরত্ব কমে যাবে। এ রেলপথের বর্তমান দূরত্ব ৩২০ কিলোমিটার।

ঢাকা-চট্টগ্রাম ভায়া কুমিলা-লাকসাম দ্রুত গতির রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মো. কামরুল আহসান বলেন, সম্ভাব্যতা যাচাই কাজ চলছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের নকশা আমাদের কাছে জমা দিয়েছে। এগুলো আমরা যাচাইবাছাই করছি। জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ আছে। এরমধ্যে আমরা ডিপিপি তৈরির কাজ শেষ করবো। যে কারণে এখনই এ প্রকল্পের ব্যয় কত ধরা হবে তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না।

এর আগে ২০১৭ সালের মার্চে প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়। ২০১৮ সালের ৩১ মে চায়না রেলওয়ে ডিজাইন করপোরেশন এবং বাংলাদেশের মজুমদার এন্টারপ্রাইজ নামে দুটি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে সম্ভাব্যতা যাচাই কাজ শুরু করে। ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই ও নকশা প্রস্তুতের কাজ গত জানুয়ারিতে শেষ করেছে এ দুটি প্রতিষ্ঠান।

ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী  সোনার বাংলায় যাতায়াত করতে সময় লাগে প্রায় ছয় ঘণ্টা। উচ্চগতির বুলেট ট্রেন চালু হলে সেখানে সময় লাগবে মাত্র ৫৫ মিনিট। প্রস্তাবিত রেলপথে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, ফেনী, পাহাড়তলী ও চট্টগ্রামে স্টেশন রাখা হবে। এসব স্টেশনে বিরতির উপর ট্রেনের যাতায়াত সময় আরো ২০ মিনিট বাড়তে পারে। ট্রেনটি ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটার গতিতে চলবে। লক্ষ্য অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন করা গেলে প্রতিদিন বুলেট ট্রেন ব্যবহার করেই এ রুটে ৫০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা যাবে।

প্রকল্পের জন্য ৬৬৮ দশমিক ২৪ হেক্টর জমির প্রয়োজন হবে। এ রুটে বর্তমানে রেলের যে জায়গা আছে সেগুলো ছাড়াও আরো ৪৬৪ দশমিক ২ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। প্রস্তাবিত বুলেট ট্রেনের রেলপথটি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মধ্য দিয়ে যাবে। এ রেলপথ নির্মাণে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারসহ পার্বত্য এলাকায় পর্যটন ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা আরো বাড়বে।

প্রস্তাবিত স্টেশনের নকশা।

বাংলাদেশ রেলওয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে আধুনিক প্রযুক্তির বুলেট ট্রেন প্রকল্প বাস্তবায়নে এক লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্যয়ের দিক থেকে এটিই হবে দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ প্রকল্প। ইতোমধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে চীনের দুটি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান এগিয়ে যাবে আরো এক ধাপ। এতে কম সময়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ দেশের রাজধানীর সাথে যোগাযোগ  করতে পারবে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.