ফিল্ড হাসপাতাল পরিদর্শন করে মুগ্ধ : মেয়র

0 135


মানবিকবোধ, স্বচ্ছ আবেগ আর সাহসকে পুঁজি করে ব্যক্তি উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠা চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতাল পরিদর্শন করে মুগ্ধ, অভিভূত হলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

মেয়র বললেন, শুধুমাত্র সাহসকে পুঁজি করে জাতির চরম স্বাস্থ্য-সঙ্কটে একটি হাসপাতাল দাঁড়িয়ে যেতে পারে উদ্যোক্তারা সেটি প্রমাণ করেছেন। এসময় উদ্যোক্তাদের জন্য অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান মেয়র।

রোববার (১৯ এপ্রিল) বেলা ৩টার দিকে মেয়র হাসপাতালটি পরিদর্শনে যান। এসময় মেয়রকে স্বাগত জানান হাসপাতালটির স্বপ্নদ্রষ্টা ডা. বিদ্যুত বড়ুয়া। এসময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর, জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসআই) চট্টগ্রামের উপ পরিচালক শরীফুল হাসান, সিটি করপোরেশনের প্রাক্তন কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট রেহানা বেগম রানু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মেয়র সাড়ে ৬ হাজার বর্গফুট আযতনে ৬০ শয্যার এই বিশেষায়িত হাসপাতালের শেষপর্যায়ের নির্মাণ কাজ, বিশেষায়িত লিফটব্যবস্থা (অ্যাম্বুলেন্স উপরে তোলা যায়) চিকিৎসক-নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকার ঘর, রিসেপশন, সেনিটেশন ব্যবস্থা, রান্নার স্থান, অফিসকক্ষসহ সার্বিক প্রস্তুতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

এসময় সাংবাদিকদের মেয়র বলেন, বৈশ্বিক এই ক্রান্তিকালে, মানবিক এই খড়ার মাঝে মানবতার ঝাণ্ডা নিয়ে এগিয়ে আসা ডা. বিদ্যুত বড়ুয়া সহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা, হৃদয়ছোঁয়া ভালোবাসা। সত্যিই এটি একটি সময়োপযোগী সাহসী পদক্ষেপ। টাকা থাকলেও এমন একটি হাসপাতাল করা যায় না। এজন্য প্রয়োজন সাহস, দৃঢ় মনোবল এবং মানবিকবোধ। এসব আছে বলেই এত কম সময়ে সাধারণ মানুষের ভালোবাসা সঙ্গী করে করোনা রোগীদের জন্য হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমি সাধুবাদ ও স্যালুট জানাই।

মেয়র বলেন, শুরু থেকেই মানসিকভাবে এই হাসপাতালের সাথে আমি জড়িত। উদ্যোক্তা ডা. বিদ্যুত বড়ুয়ার সাথে এ নিয়ে আমার একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। আমি সংশয়ে ছিলাম এই কারণে যে, লজিস্টিকস এলো, হাসপাতাল হলো, কিন্তু চিকিৎসক-নার্স, স্বেচ্ছাসেবক পাওয়া গেলো না। তখন তো সবই বৃথা। আজকে এসে শুনলাম ইতোমধ্যে ডাক্তার-নার্স, স্বেচ্ছাসেবক মিলে ৪০ জন এই হাসপতালের স্বেচ্ছাশ্রমে যুক্ত হয়ে মানবিক যোদ্ধার খাতায় নিজেদের নাম লিখিয়েছে। এটি একটি বিশাল মানবিক ঘটনা। কোনো মহৎ উদ্দেশ্য বৃথা যায় না, মূলত সেটিই প্রমাণিত হলো বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে।-বলেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
এসময় হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের কল্যাণে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন মেয়র।

প্রসঙ্গত, নগরের আকবর শাহ থা্নাধীন সলিমপুর পাকা রাস্তার মাথা এলাকায় নাভানা গ্রুপের অবকাঠামোতে ৬০ শয্যার নির্মিত এই অস্থায়ী হাসপাতালটির সেবাকার্যক্রম মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) থেকে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট উপসর্গের বিশেষায়িত এই হাসপাতালে এধরনের রোগীদের পরম মমতা ও যত্নআত্তিতে সেবা দেয়া হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.