চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন

0 120


বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ কতৃক চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের ২৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষিত হয়েছে।
আগের অনুমোদিত কমিটির সভাপতি এস.এম.বোরহান উদ্দিন ও মো. আবু তাহেরকে সাধারণ সম্পাদক করে এবার পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
আজ বুধবার (৪ মার্চ) সকালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি তালিকাটি প্রকাশ করা হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, সহ-সভাপতি পদে দায়িত্ব পেয়েছেন ৫০ জন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ১১ জন, সম্পাদক পদে ১৪ জন, সাংগঠনিক সম্পাদক ১০ জন, অর্থ সম্পাদক পদে রাশেদুল ইসলামের সঙ্গে দায়িত্ব পেয়েছেন আরো ৪ জন উপ-সম্পাদক। প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন আবু বকর জীবন, উপ প্রচার সম্পাদক হয়েছেন চারজন।
দপ্তর সম্পাদক পদে আসিফ নেওয়াজ জিহান, উপ দপ্তর সম্পাদক হয়েছেন চারজন। গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মাইনুল মান্নান, চারজন হয়েছেন উপ গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক। শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক হয়েছেন মোঃ সেলিম, ৪ জন হয়েছেন উপ শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক। সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে এসেছেন সৈকত চৌধুরী, উপ সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ৪ জন।
আইন সম্পাদক পদে দায়িত্ব পেয়েছেন আসিফ বিন রশিদ; উপ আইন সম্পাদক হয়েছেন ৪ জন। পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক পদে এসেছেন মুনতাসির রুবেল; উপ পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ৪ জন। স্কুলছাত্র বিষয়ক সম্পাদক পদে মোঃ জয়নাল আবেদিন রুবেল দায়িত্ব পেয়েছেন; উপ স্কুলছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ৪ জন। তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে এসেছেন আরাফাতুল ইসলাম; উপ তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ৪ জন।
ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক পদে শহিদুল ইসলাম শহিদ, ৪ জন পেয়েছেন উপ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব। গণসংযোগ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন সাহাব উদ্দিন জয়তুন; উপ গণসংযোগ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ৪ জন। মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মোঃ রেজাউল করিম রুবেল; উপ মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ৪ জন। আপ্যায়ন সম্পাদক পদে এসেছেন রানা বড়ুয়া; উপ আপ্যায়ন সম্পাদক হয়েছেন ৪ জন। ছাত্র বৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন এনায়েত উল্লাহ মোহাম্মদ সিদ্দিক সানি; উপ ছাত্র বৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ৪ জন।
সমাজসেবা সম্পাদক হয়েছেন ইফতেখার উদ্দিন মাহমুদ সবুজ; উপ সমাজসেবা সম্পাদক হয়েছেন হয়েছেন ৪ জন। ক্রীড়া সম্পাদক পদে অজয় মহাজন এসেছেন; ৪ জন পেয়েছেন উপ ক্রীড়া সম্পাদকের দায়িত্ব। পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন অনুপম দত্ত; উপ পাঠাগার সম্পাদক পদ পেয়েছেন ৪ জন। তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন সুমি আক্তার রাইসা; ৪ জন হয়েছেন উপ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক। ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ফারজানা আক্তার; উপ ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ২ জন।
এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা সম্পাদক পদ পেয়েছেন দেবু দাস। কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ইরফান সাদেক শুভ। কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শিমুল বড়ুয়া। স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন মোঃ মিনহাজ উদ্দিন। নাট্য ও বিতর্ক সম্পাদক হয়েছেন মোঃ শওকত আলী। এসব পদে ৪ জন করে সহ সম্পাদক করা হয়েছে।
বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মোঃ আবু তাসমিন ইউসুফ। কৃষি বিষয়ক সম্পাদক এম তৌহিদুল ইসলাম, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক উত্তম বিশ্বাস, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল হাসান রাকিব ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ফখ্রুল হাবিব মাসুম। সদস্য পদে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ১১ জনকে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। আবদুল কাদের সুজনকে সভাপতি ও আ ম ম টিপু সুলতান চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত ওই কমিটি ২০০৩ সাল পর্যন্ত বহাল থাকে। ২০০৩ সালে এই কমিটি ভেঙে দিয়ে মোহাম্মদ ফারুককে আহ্বায়ক করে তিন মাসের জন্য কমিটি গঠন করা হয়।
তিন মাসের এই কমিটি বহাল থাকে ২০১১ সাল পর্যন্ত, অর্থাৎ ৮ বছর। ২০১১ সালে মোহাম্মদ ফারুকের নেতৃত্বাধীন এই কমিটি ভেঙে দিয়ে আবদুল মালেক জনিকে আহ্বায়ক করে কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি গঠনের কিছুদিন পর আতর্কিত হামলায় খুন হন কমিটির আহ্বায়ক আবদুল মালেক চৌধুরী জনি।
এরপর ২০১৪ সালের ৩০ আগস্ট ঢাকায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ছাত্র সমাবেশ থেকে ফেরার পথে দুই পক্ষের মারামারিরতে ট্রেন থেকে ফেলে দেয়া হয় দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ নেতা ও লোহাগাড়ার বারআউলিয়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম তকিকে। এ সময় তকি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
তকির মৃত্যুর পর সালাহ উদ্দিন সাকিবের নেতৃত্বাধীন কমিটির কার্যক্রম ২০১৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ করে দেয়া হয় কেন্দ্র থেকে। তখন থেকে নেতৃত্বশূন্য ছিল চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ।
পরে ২০১৭ সালে এসএম বোরহান উদ্দিনকে সভাপতি এবং আবু তাহেরকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। সেই কমিটিই এবার বর্ধিত আকারে ঘোষণা করা হলো।

Leave A Reply

Your email address will not be published.