আঁখির লাশ নিয়ে সেন্ট্রালে গিয়ে বলব আমাদেরকেও মেরে ফেলুন: সহপাঠী

0 233

অনলাইন ডেস্ক:

রাজধানীর গ্রিন রোডে অবস্থিত সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর পর মারা গেলেন লাইফ সাপোর্টে থাকা মা মাহবুবা রহমান আঁখি। রোববার (১৮ জুন) দুপুরের দিকে ল্যাবএইড হাসাপাতালে তিনি মারা যান।

এদিকে আঁখির মৃত্যুর পর বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছেন তার সহপাঠীরা। তারা ইতোমধ্যে সেন্ট্রাল হাসপাতাল ঘোরাওয়ের ঘোষণা দিয়েছে। সেসঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেন্ট্রাল হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল এবং ডা. সংযুক্তা সাহাকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে।

রোববার (১৮ জুন) ল্যাবএইড হাসপাতালে অবস্থান করা আঁখির সহপাঠী ও ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা এ ঘোষণা দেয়।

তাদের পক্ষ থেকে সহপাঠী নাজমুল আহসান বলেন, আমরা আঁখির লাশ নিয়ে সেন্ট্রাল হাসপাতালে যাব। সেখানে গিয়ে বলব আমাদেরকেও মেরে ফেলুন।

আঁখি ও তার সন্তানের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ী কয়েকজন চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন মূল হোতা ডা. সংযুক্তা সাহা। একই সঙ্গে এ ঘটনায় মূল দায়ী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

এ সময় নাজমুল আহসান বলেন, আমরা কোন জায়গায় বসে আছি। তারা এসে আমাদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে, বিভিন্ন মামলার হুমকি দিচ্ছে, বিভিন্ন ঝামেলার হুমকি দিচ্ছে। গতকাল একজন লোক এসে আমাদের বলে আপনাদের তো তেল হয়ে গেছে, আপনারা বাড়াবাড়ি করছেন। গ্রেপ্তার হয়েছে দেখে কি হয়েছে, বাংলাদেশের ঘটনা এটা দু’দিন পর এমনিতেই ছেড়ে দেবে। তখন আপনাদের কে দেখবে, তখন আমরা দেখব। তারা সেন্ট্রাল হাসপাতালের পক্ষ থেকে এসেছে। সে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গত চার পাঁচদিন ধরে আমরা এর প্রতিবাদ করেছি আপনারা সঙ্গে ছিলেন। কখনো বিশ্বাস করি না কোনো সাংবাদিক এমন হুমকি দিতে পারে। সে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে গতকাল শনিবার (১৭ জুন) হুমকি দিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি সেন্ট্রাল হাসপাতাল থেকে লোক পাঠানো হয়েছে।

এসময় তার সহপাঠীরা ডা. সংযুক্তা সাহার লাইসেন্স বাতিল ও গ্রেপ্তারের দাবি জানায়। সেই সঙ্গে সংযুক্তা সাহা যাতে বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে না পারে তার যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানায়। এছাড়াও সেদিন অপারেশনের সময় যারা উপস্থিত ছিল সকলের লাইসেন্স বাতিলেরও দাবি জানানো হয়।

এছাড়াও বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় আইনে একজন নবজাতক শিশুকে হত্যা করা ও আরেকজন মাকে হত্যা করায় ফৌজদারী অপরাধে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.