কঠিন সময়ে সহজ বাজেট দেয়া অসম্ভব: পরিকল্পনামন্ত্রী

0 169

অনলাইন ডেস্ক:

বছরে তিন লাখ টাকার কম আয় থাকলে, এতোদিন রিটার্ন বাধ্যতামূলক হলেও, কর দিতে হতো না রাষ্ট্রীয় কোষাগারে। কিন্তু, নতুন অর্থবছরে, কোনো টিআইএনধারী বিবরণী জমা দিলেই, গুণতে হবে ন্যূনতম ২হাজার টাকা।

এক রকম বেশকিছু অস্বস্তিকর পরিবর্তন নিয়ে পয়লা জুন সংসদে উঠছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট। যেখানে, বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে ৪৪টি সরকারি সেবায় আয়কর রিটার্নের প্রাপ্তি স্বীকারপত্র জমা দেয়া। তবে চড়া মূল্যস্ফীতির এই সময়ে কিছুটা স্বস্তি দিতে সাড়ে তিন লাখ টাকায় নেয়া হচ্ছে নতুন করমুক্ত আয়ের সীমা। একই সাথে, ঘোষণা আসছে সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বছরে তিন লাখ টাকা যার পকেটে জমা আছে সে মোটামুটি নিম্ন মধ্যবিত্ত পর্যায়ে আছে। তবু তাকে একটু সুযোগ দেয়া যাবে।

৫ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে সাজানো বাজেটে বাড়ছে করের চাপ। তবে, এই ধাক্কা সবচেয়ে বেশি লাগতে পারে প্রত্যক্ষ আয়করে। কারণ, ওই খাত থেকে বেশি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৭ শতাংশ। অন্যদিকে, পরোক্ষ কর থেকেও আয় বাড়াতে বহু পণ্যে বসতে পারে অতিরিক্ত শুল্ক। এরমধ্যে, নিত্য ব্যবহার্য প্লাস্টিক পণ্য থেকে শুরু করে থাকতে পারে সব ধরনের চশমা। অতিরিক্ত টাকা গুণতে হতে পারে নির্মাণ খাতের জরুরি পণ্য সিমেন্ট এমনকি পরিবেশবান্ধব বাহন বাইসাইকেলসহ আরো অন্তত ২৫ পণ্যে। ফলে স্বস্তির বদলে বাড়তে পারে দুশ্চিন্তা।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, কঠিন সময়ে সহজ বাজেট দেয়া অসম্ভব। কঠিন সময়ে আমাদের কঠিন বাজেটই করতে হবে। কঠিন প্রশ্নের মোকাবেলা করতে হবে। তাই, সরকারকেও নিতে হচ্ছে অপ্রত্যাশিত কিছু উদ্যোগ। সবার জন্যে তো কঠিন সময় নয়, সেটাও মাথায় রাখতে হবে। কারও কারও জন্যে এটা পৌষ মাস কারও সর্বনাশ।

৭ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকার বাজেট থেকে রেকর্ড ১লাখ ১০ হাজার কোটি ভর্তুকি গুণতে হবে সরকারকে। যেখানে, ৫০ হাজার কোটিই চলে যাবে কেবল বিদ্যুৎ ও সারের পেছনে। আর সুদের ব্যয় এক লাখ ২ হাজার কোটি। অন্যদিকে, ২লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি মেটাতে দেড় লাখ কোটির জন্য ভরসা ভরসা দেশীয় উৎস।

Leave A Reply

Your email address will not be published.