রাশিয়া থেকে ভারতের জ্বালানি আমদানি বাড়ল ১০ গুণ

0 110

অনলাইন ডেস্ক:

রাশিয়া থেকে ভারতের জ্বালানি তেল আমদানির পরিমাণ গত বছর ১০ গুণ বেড়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত ঋণদাতা ব্যাংক বরোদা।

ইউক্রেন হামলার ঘটনায় রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা শক্তিধর দেশগুলোর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞায় বিশ্বের অন্যতম জ্বালানি রপ্তানিকারক দেশটি বেকায়দায় পড়ে যায়। তবে সেই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে ফায়দা লুফে নেয় ভারত। উপকৃত হয় মস্কোও।

ব্যাংকটির হিসাব বলছে, মস্কো থেকে অপরিশোধিত তেল কেনা বাড়িয়ে এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারত প্রায় ৫০০ কোটি ডলার সাশ্রয় করেছে।

সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে সেনা অভিযানের পর পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি আমদানি কমিয়ে দেয়। তবে ভারত সে পথে হাঁটেনি। উল্টো সস্তায় পাওয়া রুশ তেল কেনা বাড়িয়ে দেয়।

পশ্চিমা শক্তিধর দেশগুলোর নেয়া বিধিনিষেধ ও কঠোর পদক্ষেপের পর মস্কোও কম দামে তাদের উদ্বৃত্ত জ্বালানি চীন ও বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারক ভারতের কাছে বিক্রি করতে শুরু করে।

২০২১ সালে ভারত বছরে যে পরিমাণ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করেছিল, তার মধ্যে মাত্র ২ শতাংশ ছিল রাশিয়ার তেল; এখন এই পরিমাণ প্রায় ২০ শতাংশে পৌঁছেছে, বলছে ব্যাংক অব বরোদা।

তাদের হিসাব অনুযায়ী, গত অর্থবছরে ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনে প্রতি টন অপরিশোধিত তেলে ৮৯ ডলারের মতো সাশ্রয় করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোর তুমুল চাপ উপেক্ষা করে ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি অব্যাহত রাখে। দেশটি পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় সুর  মেলায়নি। ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনা অভিযানের ঘটনায় জাতিসংঘ সহ বিশ্বের বিভিন্ন ফোরামে উচু গলায় নিন্দাও জানায়নি দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি।

নয়া দিল্লি রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা বাড়ানোর পক্ষে যুক্তি হাজির করে বলে, তারা এখনও আমদানি করা জ্বালানির ওপর অনেকখানি নির্ভরশীল। পাশাপাশি এখনও দেশের বিপুল সংখ্যক লোক দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করে, যে কারণে তারা বেশি দামে তেল কেনার মতো অবস্থায় নেই।

Leave A Reply

Your email address will not be published.