ইউএনএইচসিআর অফিসের সামনে রোহিঙ্গা যুবকের আত্মহত্যার চেষ্টা

0 249

অনলাইন ডেস্কঃ

কক্সবাজারে জাতিসঙ্ঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) অফিসের সামনে সড়কের ওপর শুয়ে আবুল ওসমান নামে এক রোহিঙ্গা যুবক আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন। এ সময় তার মা, স্ত্রী ও সন্তানসহ পরিবারের পাঁচ সদস্য ছিলেন।

বুধবার রাত ৮ টার দিকে কক্সবাজার শহরের মোটেল রোডে ইউএনএইচসিআর অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে ইউএনএইচসিআরের কর্মকর্তা, নিরাপত্তারক্ষী, গণমাধ্যম কর্মী ও টহল পুলিশ আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে ওই যুবককে বুঝিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেয়।

ওসমান উখিয়ার কুতুপালং নিবন্ধিত শরণার্থী শিবিরের ই-ব্লকের ৪০ নম্বর শেডের বাসিন্দা এহসানুল হকের ছেলে।

জানা গেছে, ক্যাম্প সিআইসি, পুলিশ ও পারিবারিক বিরোধের বঞ্চনার বিচার চাইতে ইউএনএইচসিআর কক্সবাজার সাব অফিসে আসেন ওসমান। তখন কর্মকর্তাদের সাথে তর্ক-বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে ওই যুবক সড়কে শুয়ে পড়েন ও স্বপরিবারের আত্মহত্যার হুমকি দেন।

ওসমান বলেন, ‘পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে ক্যাম্প সিআইসি ও পুলিশ হয়রানি করছে নিয়মিত। পাশাপাশি রেশন দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। নিবন্ধিত শরণার্থী হিসেবে যেসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা তার কিছুই দেয়া হচ্ছে না। তারপরও বিচার চাইতে ইউএনএইচসিআর সাব অফিসে আসি। কর্মকর্তারা বারবার আশ্বস্ত করে। কিন্তু কোনো সমাধান দেয় না। এভাবে তাদের অবহেলার কারণে প্রতিদিন হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।’

ইউএনএইচসিআরসহ ক্যাম্পে নিয়োজিত এনজিওর চাকরির করার কারণে আরসার নেতাদের হুমকি পেতে হচ্ছে জানিয়ে এ যুবক জানান, ‘ইউএনএইচসিআরের নিবন্ধিত শরণার্থী হিসেবে নিরাপত্তা দেয়ার কথা থাকলেও তারা কিছু করছে না। আমি বারবার অভিযোগ করার পরও তারা ব্যবস্থা নেয়নি। আমি এখন স্বপরিবারের আত্মহত্যা করব।’

আত্মহত্যা চেষ্টাকারী যুবকের মা ফাতেমা বেগম বলেন, ‘ওসমানের বাবা আরেকটি বিয়ে করে। ওই নারী আমার সন্তানদের হত্যার উদ্দেশ্যে একাধিক বার হামলা করে লোকজন নিয়ে। এ নিয়ে বারবার অভিযোগ দেয়ার পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এখন পুরো পরিবার শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছি। উল্টো তারা আমার ছেলেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে হেনস্তা করছে। ইউএনএইচসিআর অফিসে কয়েক দফা বলার পরও সমাধান হচ্ছে না বা করছে না তারা। এখন কোথায় যাব?’

ইউএনএইচসিআর কার্যালয়ের নিরাপত্তা রক্ষীদের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহসিন বলেন, ‘সিনিয়র স্যারদের সাথে কথা বলে আমরা বের হই। একপর্যায়ে ওই যুবক সড়কে শুয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। কিছুক্ষণ পর আমরা তাকে বুঝিয়ে একটি ইজিবাইকে তুলে দিয়েছি।’

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ইউএনএইচসিআর কক্সবাজার কার্যালয়ের লিয়াজো অফিসার ইখতিয়ার উদ্দিন বায়েজীদ বলেন, ‘নিবন্ধিত রোহিঙ্গা পরিবার বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে এসেছিল। কথা বলার এক পর্যায়ে তিনি অফিসের সামনের সড়কে বেরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে তাকে বুঝিয়ে রোহিঙ্গা শিবিরে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.