নিত্যপণ্যে দাম বাড়ার প্রভাব পড়ছে হোটেল রেস্তোরাঁর খাবারেও

0 291

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে হোটেলের খাবারে। পাঁচ টাকার পরোটার দাম এখন দশ টাকা। সিঙ্গারা, সমুচার মতো আইটেমের দাম বেড়েছে আগের চেয়ে দেড় গুণ।

কোনো কোনো হোটেল মালিক দাম না বাড়ালেও কমিয়ে দিচ্ছে খাবারের পরিমাণ। সব মিলে ঘর কিংবা খাবারের হোটেল, কোথাও স্বস্তি নেই ভোক্তাদের।

বাজারদরের ঊর্ধ্বগতির সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে নিম্ন আয়ের মানুষদের। জীবিকার তাগিদে অনেকেই রাস্তা ঘাটের হোটেলে খেতে হয়। কিন্তু সেখানেও হানা দিয়েছে দ্রব্যমূল্য।

তেল, ময়দা, আটা কিংবা পেঁয়াজের মতো নিত্যপণ্য দাম বাড়ার প্রভাবটা পাল্টে দিয়েছে হোটেল রেস্তোরাঁর সব রকম খাবারের দাম। বদলে গেছে মূল্য তালিকা।

পাঁচ টাকার পরোটা দশ টাকা কিংবা ২০ টাকার নান রুটি হয়ে গেছে ২৫ টাকা। যে সব হোটেল মালিকরা দাম বাড়াচ্ছেন না, তারা কমিয়ে দিয়েছে খাবারের পরিমাণ।

পুরি-সিঙ্গারা বা সমুচার মতো হালকা খাবারেও বাড়তি দাম। পাঁচ টাকার সিঙ্গারা হয়েছে দশ টাকা। ১০ টাকার কিমাপুরি ১৫ টাকা।

এই পরিস্থিতিতে ঘরে বাইরে বাড়তি খরচের হিসাব মেলাতে গিয়েই হিমসিম অবস্থা নিম্ন আর মধ্যম আয়ের মানুষদের। বলছেন, যেভাবে দাম বাড়ছে তাতে না খেয়ে থাকতে হবে।

অন্যদিকে, আটা-ময়দার দাম বেড়ে যাবার প্রভাব পড়েছে বেকারি পণ্যতেও। পাউরুটি থেকে শুরু করে এ জাতীয় বেকারি পণ্যের দামও বাড়িয়ে দিয়েছে বেকারি ব্যবসায়ীরা।

তবে, ভোক্তারা এবার আর হোটেল মালিকদের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন না। তাদের চাওয়া নিত্য পণ্যের দামের লাগাম টানা হোক।

যদিও ভোজ্যতেল আর আটা ময়দার মতো পণ্যে দামের লাগামটা বাংলাদেশের হাতে নেই। এর কারণ রুশ ইউক্রেন যুদ্ধ। শুধু বাংলাদেশ নয় আন্তর্জাতিক বাজারও অস্থির।

Leave A Reply

Your email address will not be published.