পি কে হালদার কলকাতায় গ্রেপ্তার

0 377

হাজার কোটির বেশি টাকা আত্মসাৎ করে দেশ থেকে পালানো প্রশান্ত কুমার হাওলাদার (পি কে হালদার) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে গ্রেপ্তার হয়েছেন।

আজ শনিবার (১৪ মে) সকালে পশ্চিমবঙ্গের কাটোয়ায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) অভিযানে শিবশঙ্কর হালদার নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ব্যক্তি পি কে হালদার বলে সন্দেহ করা হচ্ছিল।

পরে দুপুরে কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করার বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেন।

এর আগে, শুক্রবার (১৩ মে) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোকনগরে সুকুমার মৃধা নামের পি কে হালদারের এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চালায় ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

জানা গেছে, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ও দুদকের অনুরোধে ভারতে এ অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই সংস্থা আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্ত করে থাকে।

শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের অন্তত ৯টি স্থানে একযোগে অভিযান চালিয়ে ইডি কয়েকটি অভিজাত বাড়িসহ বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পায়। বাড়িগুলো থেকে জমির দলিলসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক নথি উদ্ধার করা হয়। পশ্চিমবঙ্গে পিকে হালদারের ২০ থেকে ২২টি বাড়ি আছে বলে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া যায়।

জানা গেছে, পিকে হালদারের আয়কর আইনজীবী ছিলেন সুকুমার মৃধা। পিকে হালদারের সঙ্গে যোগসাজশে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সুকুমার মৃধাকে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দুই মামলায় আসামি করা হয়েছে। দুদক তাকে গ্রেপ্তার করেছে এবং বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মৃধাকে তারা মাছ ব্যবসায়ী হিসেবে চিনতেন। পিকে হালদার ও সুকুমার মৃধা অশোকনগরে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী। ইডি ধারণা করছে, এই দু’জনের দীর্ঘদিনের যোগসাজশে এনআরবির বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।

পি কে হালদার ছাড়াও তার ভাই প্রাণেশ হালদার ও সুকুমার মৃধার মেয়ের জামাই সঞ্জীব হাওলাদারসহ এই চক্রের আরও কয়েকজন ইডির অভিযানে আটক হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এছাড়াও, স্বপন মৈত্র ও উত্তম মৈত্র নামে বাংলাদেশে অর্থ তছরুপের ঘটনায় অশোকনগর থেকে এই দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করে ইডি।

আদতে বাংলাদেশি হলেও দু’দেশেই নাগরিকত্ব রয়েছে অভিযুক্তদের। উত্তমের স্ত্রী রচনা মৈত্র জানান, দেড় বছর আগে বাংলাদেশ থেকে তিনি পশ্চিমবঙ্গে আসেন। তার দু’দেশেই  নাগরিকত্ব রয়েছে বলেও জানান তিনি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.