­­শেষ হচ্ছে না কাজ এবছরও

0 215

করোনার থাবায় কাজের গতিতে ছিল স্থবিরতা। সেই স্থবিরতা কেটে পুরোদমে নির্মাণকাজ চললেও যথাসময়ে শেষ হওয়া নিয়ে পূর্ব থেকেই ছিল শঙ্কা। এরইমধ্যে আরও একবছর কাজের মেয়াদ বেড়েছে চট্টগ্রাম সাংস্কৃতিক বলয় নির্মাণ প্রকল্পের কাজ। আর এ সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ করার তাগিদ সংশ্লিষ্টদের।

ঠিকাদার ও বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের দাবি, করোনার কারণে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যাঘাত ঘটায় সফলভাবে শেষ করা যায়নি। তাই সফলভাবে বৃহৎ এ প্রকল্পের কাজ শেষ করতে আরও এক বছর সময়ের প্রয়োজন আছে। যদিও এ এক বছরের মধ্যে কাজ শেষ করা যাবে কি-না, তা নিয়েও রয়েছে নানান জল্পনা-কল্পনা। তবে চলতি বছরেই কাজ শেষ করতে চায় প্রকল্প নির্মাণ কাজে নিয়োজিত বিভাগটি।

খোঁজ জানা যায়, গত ৩ মার্চ  পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের স্কাইসোয়াম অনুবিভাগের উপ-প্রধান তাহমিনা জাকারিয়া স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ‘চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স স্থাপন’ প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজের মেয়াদকাল আরও এক বছর বাড়ানোর বিষয়টি জানা যায়। চিঠিটি পরিকল্পনা কমিশন থেকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে পাঠানো হয়। তবে এতে কাজের মেয়াদকাল বাড়লেও বাড়ানো হয়নি কোন ব্যয়।

গণপূর্ত সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স স্থাপন প্রকল্পের সর্বশেষ মেয়াদকাল ছিল ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে করোনার কারণে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যাঘাত ঘটে। যার ফলে প্রকল্পটির কাজ সফলভাবে শেষ করতে আরও এক বছর সময় দরকার বলে চিঠি দেয়া হয় সংশ্লিষ্ট বিভাগকে। এরমধ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে মেয়াদ বাড়ানোর জন্য পরিকল্পনা বিভাগের অনুমোদন চাওয়া হয়। যার প্রেক্ষিতে গত ৩ মার্চ পরিকল্পনা বিভাগ থেকে মেয়াদ বাড়ানো অনুমতি দেয়।

এদিকে, পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের স্কাইসোয়াম অনুবিভাগের উপ-প্রধান তাহমিনা জাকারিয়া গণমাধ্যমে জানান, উদ্যোগী মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পটির ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া বাস্তবায়ন মেয়াদকাল এক বছর বাড়িয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

এর আগে ২০১৭ সালের নভেম্বরে একনেকে পাস হয় চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স বা সাংস্কৃতিক বলয় প্রকল্প। ২৩২ কোটি ৫২ লাখ টাকার এ প্রকল্পে প্রথম পর্যায়ে ১৬৫ কোটি ৯০ লাখ টাকার কাজ চলমান আছে। যেখানে মুসলিম ইনস্টিটিউট ভেঙে ফেলে মাস্টার প্ল্যানের আওতায় ১৫ তলা বিশিষ্ট একটি গ্রন্থাগার, ৮ তলা বিশিষ্ট মিলনায়তন ভবন ও একটি মাল্টিপারপাস হল নির্মাণ করা হবে। এছাড়া রাস্তার এপার-ওপারকে সংযুক্ত করার জন্য পাবলিক প্লাজা, ওপেন এয়ার থিয়েটার, মিউজিয়াম। পাবলিক প্লাজার ওপর অংশেই নির্মাণ হবে নতুন শহীদ মিনার। চুক্তি অনুযায়ী ২০২০ সালেই কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এ নিয়ে দুই দফা পেছাতে হয় মেয়াদকাল। তারমধ্যে শহীদ মিনার অংশ নিয়েও জটিলতা সৃষ্টি হয়। তবে সব কিছু সমাধানের পর এখন পুরোদমেই কাজ চলছে এ প্রকল্পের।

এদিকে, চট্টগ্রামের বৃহৎ এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে শিক্ষক শিক্ষার্থী ও গবেষকদের বই এবং তথ্যের চাহিদা যেমন পূরণ হবে, তেমনি নগরে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে নতুন গতি আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার তাগিদ সংস্কৃতিপ্রেমীদের।

Leave A Reply

Your email address will not be published.