রোজার আগেই বাজার গরম, সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি নিম্ন আয়ের মানুষ

0 153
ছবি: ইন্টারনেট

রোজার আগেই বাড়তে শুরু করেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। চাল থেকে শুরু করে ডাল, ভোজ্য তেল, মাছ-মাংস, আটা-ময়দা, সবজিসহ হু হু বেড়ে চলেছে সব ধরনের পণ্যের দাম। এছাড়া প্রতিদিনের অতিব্যবহৃত পণ্য-সাবান, টুথপেস্ট ও শ্যাম্পুর দামও বাড়ছে তাল মিলিয়ে। এই পরিস্থিতিতে আগামী এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে রমজান মাস। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম নি‌জে‌দের ইচ্ছেম‌তো করার ব্যাপা‌রে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট জানুয়ারি মাস থেকেই দাম বাড়িয়ে দেয়ায় ভোক্তাদের পণ্য কিনতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বাজার ঘুরে এবং খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি ছোলায় ৫-৬ টাকা, প্রতি কেজি চিনি ৫ টাকা, বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেলে ৮ টাকা,  বড় দানার মসুর ডাল কেজিপ্রতি ১০ টাকা ও ছোট দানার মসুর ডালে ৫-৭ টাকা, কেজিপ্রতি পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ২৫ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি সাধারণ মানের খেজুরে ২০ টাকা পর্যন্ত মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

দ্রব্যমূল্যের এমন ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, ‘বরাবর দেখা গেছে ব্যবসায়ীরা রমজানে পণ্যের দাম খুব কম বাড়ায়। রমজান আসার আগেই তারা কারসাজি করে দাম বাড়িয়ে দেয়। এ কারণে সংস্থাগুলোর মনিটরিংও আগেভাগেই করতে হবে। কঠোর তদারকির মাধ্যমে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে’। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতেরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ‘অধিদফতেরের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার তদারকি করা হচ্ছে। রমজানকে টার্গেট করে বিশেষভাবে মার্চ থেকে তদারকি করা হবে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসে সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অনিয়ম পেলে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। দরকার হলে প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দেয়া হবে। কোনো ছাড় দেয়া হবে না’।

Leave A Reply

Your email address will not be published.