কর্মীদের মালয়েশিয়ায় যাওয়া আসায় লাগবে না খরচ
এখন থেকে মালয়েশিয়া যাওয়া আসার সকল ব্যয় বহন করবে নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান।
গত রোববার (১৯ ডিসেম্বর) মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ একথা জানিয়েছেন।
শ্রমিকদের স্বার্থ সুরক্ষায় গুরুত্ব দিয়েই ওই চুক্তি করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
সব সংকট কাটিয়ে অবশেষে খুলছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। সাম্প্রতিক চুক্তি নিয়ে প্রবাসী কর্মী ও জনশক্তি রফতানিকারক সবাই খুশি। বিশ্লেষকরা যদিও মনে করেন, শ্রমবাজারটি টেকসই করতে অভিবাসন ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন। এবার প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীর ঘোষণায় অভিবাসন ব্যয় সংকোচনেরেই ইঙ্গিত পাওয়া গেলো।
প্রসঙ্গত, চুক্তি স্বাক্ষরের আগে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ জানিয়েছেন, প্রায় সাড়ে ৩ বছর পর আবারও চালু হতে যাওয়া এই শ্রমবাজারে এবার কোনো সিন্ডিকেট থাকবে না। সব খাতেই কর্মী নেবে মালয়েশিয়া। জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির কয়েক দফা আলোচনার পর নীতিমালা ঠিক হয়েছে, যেটি অনুমোদন দিয়েছে দুদেশেরই মন্ত্রীসভা। এবার সব রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য সমান সুযোগ থাকছে বলেও জানান মন্ত্রী।
এর আগে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে গত রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) একটি সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) সম্পন্ন হয়েছে। এতে বাংলাদেশের বাংলাদেশের পক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ ও মালয়েশিয়ার পক্ষে দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানান চুক্তিতে সই করেন। এই চুক্তির ফলে প্রায় তিন বছর বন্ধ থাকার পর ফের উন্মুক্ত হচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার।
চুক্তি স্বাক্ষরের আগে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ জানিয়েছেন, প্রায় সাড়ে ৩ বছর পর চালু হতে যাওয়া এই শ্রমবাজারে এবার কোনো সিন্ডিকেট থাকবে না। সব খাতেই কর্মী নেবে মালয়েশিয়া। জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির কয়েক দফা আলোচনার পর নীতিমালা ঠিক হয়েছে, যেটি অনুমোদন দিয়েছে দুদেশেরই মন্ত্রীসভা। এবার সব রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য সমান সুযোগ থাকছে বলেও জানান মন্ত্রী।
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী জানান, কর্মীর ব্যয় বহন করবে মালয়েশিয়ার নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। কর্মী প্রতি খরচ কতো হতে পারে তার ধারণাও নেওয়া হবে। এছাড়া কোনো এজেন্সিই নির্ধারিত সীমার বাইরে কর্মীর কাছ থেকে টাকা নিতে পারবে না। প্লানটেশন, নির্মাণসহ বিভিন্ন সেবাখাতে কর্মী নেবে মালয়েশিয়া। সরকার বিদেশের চাহিদের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে কাজ করছে।
এবারের সমঝোতা স্মারকে বেশকিছু বিষয়ে পরিবর্তন আসছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- জিটুজি প্লাস পদ্ধতি উল্লেখ থাকছে না, যুক্ত হচ্ছে মালয়েশিয়ার রিক্রুটিং এজেন্সি, থাকছে কর্মীদের বাধ্যতামূলক বিমা, কর্মীদের দেশে ফেরার ব্যবস্থা ও খরচ বহন করবে নিয়োগদাতা, চুক্তি মেয়াদে কর্মীদের দায়িত্ব নিতে হবে মালয়েশিয়ার রিক্রুটিং এজেন্সিকেও, বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ থেকে ৪৫ বছর পর্যন্ত। তবে কর্মীদের মালয়েশিয়া যেতে অভিবাসন ব্যয় বা খরচ কতো হবে, তা শিগগির জানা যাবে।