জুলাই মাসেই সর্বোচ্চ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত, হাসপাতালে ২২৮৬

0 125

নিজস্ব প্রতিবেদক :

করোনাভাইরাসের আঘাতের মধ্যেই দেশে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব। চলতি বছরের জুলাই মাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে দেশে। জুলাইতে সারাদেশে ২ হাজার ২৮৬ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৯৯ শতাংশই রাজধানী ঢাকার।

এদিকে, শনিবার (৩১ জুলাই) নতুন করে ১৯৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৯৪ জনই ঢাকার আর ঢাকার বাইরের ২ জন।

গত ১ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব জানা যায়।

তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২৫ জুলাই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০৫ জন। তাদের মধ্যে ঢাকায় ১০২ জন, বাইরের জেলায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ জন। এরপর ২৬ জুলাই ১২৩ জন, তাদের মধ্যে ঢাকায় ১২০ জন এবং বাকি ৩ জন ঢাকার বাইরে। ২৭ জুলাই ১৪৩ জন, ঢাকায় ১৪২ জন এবং ঢাকার বাইরে ১ জন। ২৮ জুলাই ১৫৩ জন, এরমধ্যে ঢাকায় ১৫০ জন এবং বাকি ৩ জন ঢাকার বাইরে।

২৯ জুলাই ১৯৪ জন, ঢাকায় ১৮১ জন এবং বাইরে ১৩ জন। ৩০ জুলাই ১৭০ জন, ঢাকায় ১৬৪ জন এবং ঢাকার বাইরে ৬ জন। ৩১ জুলাই সারাদেশে মোট ১৯৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকায় ১৯৪ জন এবং বাকি ২ জন ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, সারাদেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ৭৭৭ জন রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ঢাকাতেই আছেন ৭৪৭ জন। আর বাকি ৩০ জন ঢাকার বাইরে অন্য বিভাগে।

এই বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ২ হাজার ৬৫৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন এবং ছাড়া পেয়েছেন ১ হাজার ৮৭৭ জন। এই বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যুর তথ্য পর্যালোচনার জন্য রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

এদিকে, যেকোনো ব্যক্তির জ্বর হলেই করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

অধিদফতরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ও মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্ষাকাল শুরু হওয়ার পর দেশে মশাবাহিত রোগটির প্রাদুর্ভাব বাড়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এই অবস্থায় জ্বর নিয়ে কোনো রোগী হাসপাতালে এলেই তাকে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার পাশাপাশি ডেঙ্গু পরীক্ষাও করতে হবে। এ বিষয়ে দেশের সব সরকারি হাসপাতালের পরিচালক, সিভিল সার্জন, তত্ত্বাবধায়ক, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকারের তরফ থেকে করোনাভাইরাস ও ডেঙ্গু, দুটো পরীক্ষাই বিনামূল্যে করা হচ্ছে। তাই সাধারণ মানুষের কাছেও আমাদের নির্দেশনা হলো- জ্বর হলেই এই দুটো পরীক্ষা অবশ্যই করাবেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.