১৪ এপ্রিল থেকে সারাদেশে কঠোর লকডাউন, বন্ধ সব অফিস

0 239

দেশী ডেস্কঃ

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মারাত্মকভাবে দিন দিন  বেড়ে যাওয়ায় আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে সারাদেশে কঠোর লকডাউন শুরু হবে। এসময় জরুরি সেবা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ রাখা হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। শুক্রবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই কঠোর লকডাউন। করোনার ঊর্ধ্বগতি ঠেকানোর জন্য এর কোনো বিকল্প নেই।

ফরহাদ হোসেন বলেন, ১৪ এপ্রিল থেকে দেশে জরুরি সেবা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ থাকবে। অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সকল গণপরিবহনও বন্ধ থাকবে।

এর আগে শুক্রবার (৯ এপ্রিল) সকালে সরকারি বাসভবন থেকে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে, লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার। সঙ্গে বাড়ছে জনগণের অবহেলা ও উদাসিনতা—এমতাবস্থায় সরকার জনস্বার্থে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক লকডাউনের বিষয়ে সক্রিয় চিন্তা-ভাবনা করছে।

এদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। একদিনে ৭ হাজার ৪৬২ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে

শুক্রবার (৯ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩১ হাজার ৬৫৪ জনের। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত দেশে মোট ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৫৯৪ জনের করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৯ হাজার ৫৮৪ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৬৮ হাজার ৫৪১ জন।

অন্যদিকে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে গেল ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরো ৩৮০ জনের, মৃত্যুবরণ করেছেন তিনজন। এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৩ হাজার ৫৬৮ জন।

শুক্রবার (৯ এপ্রিল) সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ৭টি ল্যাবে ১ হাজার ৯২৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান, গত ২৪ ঘণ্টার নমুনা পরীক্ষায় ৩৮০ জন নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১ হাজার ৯২৩টি। আক্রান্তদের মধ্যে নগরে ৩১৪ জন এবং উপজেলায় ৬৬ জন।

এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২২৩টি নমুনা পরীক্ষায় ৮১ জন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৭৯৯টি নমুনা পরীক্ষায় ৮৭ জন, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৩৪৭টি নমুনা পরীক্ষায় ৬ জন এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ২৬৩টি নমুনা পরীক্ষা করে ১০০ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়।

এছাড়া বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ২২৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ৭৮ জন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৬০টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৬ জন এবং জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

এদিন শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি, কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.