আজ বিশ্ব মুসলিম মিল্লাতের পবিত্র জুম-আতুল বিদা

0 133

ধর্মীয় ডেস্ক.
আজ বিশ্ব মুসলিম মিল্লাতের পবিত্র জুম-আতুল বিদা
এই জুম-আ দ্বারা রমজানের শেষ জুমআকে বোঝানো হয়ে থাকে। জুম-আতুল বিদাকে ইবাদতের বিশেষ দিন মনে করে গুরুত্ব দেয়া হয়। কোনো কোনো মানুষের ধারণা, এর বিশেষ ফজিলত ও মর্যাদা রয়েছে। ফলে তারা এ জুমআ আদায়ের জন্য এলাকার সবচেয়ে বড় মসজিদে গমন করে। ইসলামি শরিয়তে জুম-আতুল বিদা বলে আলাদা কোনো ফজিলত নেই।

তবে একথা ঠিক যে, জুম-আর দিন অনেক ফজিলত ও মর্যাদার দিন। আর রমজানের কারণে জুমআর দিনের মর্যাদাও বেড়ে যায়। জুম-আতুল বিদার বিশেষ ফজিলতের কথা না ভেবে যেহেতু আজই রমজানের শেষ জুম-আ তাই জুম-আ আদায়ে কুরআন-সুন্নাহ ঘোষিত ফজিলত লাভে সচেষ্ট হওয়া প্রত্যেক ঈমানদার মুসলমানের জন্য জরুরি।

জুম-আর নামাজের মর্যাদা সম্পর্কে হজরত সামুরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা জুম-আর নামাজে উপস্থিত হও এবং ইমামের কাছাকাছি হয়ে দাঁড়াও। কেননা যে ব্যক্তি জুমআর নামাজে সবার পেছনে উপস্থিত হবে, জান্নাতে প্রবেশ ক্ষেত্রেও সে সবার পিছনেই পড়ে থাকবে। (মুসনাদে আহমদ)

মুসলিম উম্মাহর কাছে জুম-আর দিনটি সপ্তাহিক ইবাদতের দিন এবং ঈদ হিসেবেও গণ্য। এ দিনের ফজিলত এমনিতেই অনেক বেশি। তবে রমজানের শেষ দশকে হওয়ার কারণে এ জুম-আর সঙ্গে শেষ দশকের ফজিলতও যোগ হয়েছে। জুম-আর ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে এসেছে-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, সূর্যোদয় হওয়ার সবগুলো দিনের মধ্যে সর্বাপেক্ষা উত্তম ও শ্রেষ্ঠ হলো জুমআর দিন। এই জুমআর দিনেই হজরত আদম আলাইহিস সালামকে আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি করেছেন এবং জুমআর দিনই তাকে জান্নাত দান করেন এবং জুমআর দিনেই তাকে জান্নাত থেকে এই দুনিয়ায় প্রেরণ করেন এবং কেয়ামতও এই জুমআর দিনেই অনুষ্ঠিত হবে। (মুসলিম)

পাঁচ শ্রেণির লোক ব্যতিত জুম-আর নামাজ ত্যাগ করা কবিরা গোনাহ। তারা হলো-
– ক্রীতদাস
– স্ত্রীলোক
– অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালক
– মুসাফির এবং
– রোগাক্রান্ত ব্যক্তি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.