একজনের বিরুদ্ধে বলেছি, পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে নয় : মাহি

0 142

অনলাইন ডেস্ক:

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে পুরো পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে নয়, এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন বলে দাবি করেছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। তবে ফেসবুক লাইভে এসে অভিযোগ তোলার বিষয়টি উচিত হয়নি স্বীকার করে তিনি এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হওয়ার পর গতকাল শনিবার (১৮ মার্চ) রাতে গাজীপুরের তেলিপাড়া এলাকায় নিজেদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ‘ফারিশতা রেস্টুরেন্টে’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মাহি।

মাহিয়া মাহি বলেন, ‘আমি শুধু একজনের বিরুদ্ধে কথা বলেছি, যিনি মোল্যা নজরুল ইসলাম (গাজীপুরের পুলিশ কমিশনার)। আমি পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলিনি।’

নিজের ভুল স্বীকার করে মাহি বলেন, ‘পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভ করার বিষয়টি আমার উচিত হয়নি। একজন পুলিশ কমিশনার আমাদের পুলিশ প্রশাসনকে রিপ্রেজেন্ট (প্রতিনিধিত্ব) করেন। আমি সেটার জন্য দুঃখিত।’

চিত্রনায়িকা মাহি বলেন, ‘আমি রাষ্ট্রদ্রোহী না। আমি কেবল একজনের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। সে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছে। আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছি।’

নিজের গেপ্তার হওয়ার বিষয়ে মাহি বলেন, ‘আমার সঙ্গে যে নির্যাতন হয়েছে, এতে আমি ভীত-সন্ত্রস্ত। আমি ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আমার সঙ্গে যা হয়েছে, তা ভাষায় প্রকাশের মতো নয়। একজন গর্ভবতী নারী হিসেবে আমাকে সামান্য মানবিকতা পর্যন্ত দেখানো হয়নি।’

এই চিত্রনায়িকা আরও বলেন, ‘৯ মাসের একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীকে এয়ারপোর্ট থেকে ধরে নিয়ে গেছে তারা (পুলিশ)। তাদের ব্যবহার দেখে মনে হয়েছে—আমি যুদ্ধাপরাধী। এয়ারপোর্টে আমার স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি তারা। আমার মামাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে।’

আদালতের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মাহিয়া মাহি বলেন, ‘আমার আত্মপক্ষ সমর্থনের একটা সুযোগ তো দেবেন। কিন্তু, বিচারক শুধু চেয়ারে বসলেন আর উঠলেন। বিচারককেও কোনো কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি।’

স্বামী রকিব সরকারের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে মাহি বলেন, ‘আমি একজন অন্তঃসত্ত্বা নারী হয়েও মানবিকতাটুকু পাইনি। আমার স্বামীর বিরুদ্ধেও মামলাটা আছে। সে দেশে আসলে তার সঙ্গে কী করা হবে? আমি আমার স্বামীর নিরাপত্তা নিয়ে খুবই শঙ্কিত।’

আইনিভাবে পুরো বিষয়টি মোকাবিলা করতে চান জানিয়ে চিত্রনায়িকা মাহি বলেন, ‘আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এজন্যই দেশে ফিরেছি। আমি মনে করি—যে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সে দেশে একজন পুলিশ কমিশনার অন্যায় করে পার পাবে না।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.