আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি পুলিশের হামলা, আহত ৩১

0 335

পূর্ব জেরুজালেমে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি পুলিশের হামলায় কমপক্ষে ৩১ জন মুসল্লি আহত হয়েছেন। পবিত্র এই মসজিদে মুসলিম ও ইহুদিদের মধ্যে সম্প্রতি সংঘর্ষের ঘটনা বেড়ে চলেছে।

আহত ১৪ ফিলিস্তিনিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ইসরায়েলি পুলিশ অভিযোগ করেছে, শত শত ফিলিস্তিনি পাথর ও আতশবাজি ছুড়তে শুরু করে এবং ওয়েস্টার্ন ওয়ালের পাশে কাছে চলে আসে, যেখানে ইহুদিদের উপাসনা চলছিল। পরে তাতে পুলিশ হস্তক্ষেপ করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, শুক্রবার ফজরের পর পুলিশ আল-আকসা কম্পাউন্ডের ভেতরে প্রবেশ করে উপস্থিত দুই শতাধিক মুসল্লির ওপর রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ শুরু করে। ওই সময় ফিলিস্তিনিরা তাদের দিকে পাথর ছুড়ছিল। সংবাদ সংগ্রহ করতে উপস্থিত থাকা একদল সাংবাদিকদের খুব কাছ থেকে রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ।

সম্প্রতি হারাম শরিফ হিসেবে পরিচিত মসজিদুল আকসার মূল অংশে (ইহুদিরা টেম্পল মাউন্ট বলে) সহিংসতা বেড়েছে। যা বড় ধরনের ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাতে রূপ নিতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, গত মার্চ থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে কমপক্ষে ২৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর ইসরায়েলি পুলিশ ও চিকিৎসকদের মতে একই সময়ে ১৪ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন।

চলতি বছরে মুসলমানদের রমজান ও ইহুদিদের পাসওভার উদযাপন একই সময়ে পড়ে যাওয়ায় অধিক সংখ্যক মুসলিম ও ইহুদি আল-আকসায় জড়ো হচ্ছেন।

ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থানে ইহুদিদের উপাসনা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এ নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গের অভিযোগ করেছে ফিলিস্তিনিরা। ফিলিস্তিনিরা এ ধরনের কাজকে উস্কানি হিসেবে দেখে থাকে। যদিও ইসরায়েল এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, বিগত বছরের মতো ইসরায়েল রমজানের শেষ দিনগুলোতে ইহুদিদের সফর বন্ধ করেছে যা (আজ) শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে, রমজানের শেষ দিনগুলোতে আল-আকসায় মুসলমানদের উপস্থিতি বৃদ্ধি পায়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.