পুতিনের লক্ষ্যপূরণ কত দূর?

0 372

ইউক্রেনে চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর থেকে শনিবার (২১ মে) পর্যন্ত টানা ৮৭ দিনের মতো চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সংঘাত। এখন প্রশ্ন উঠছে, যে উদ্দেশ্যে পুতিন ইউক্রেনে অভিযান শুরু করেছেন, তা এখন পর্যন্ত আদৌ কি অর্জিত হয়েছে?

ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর দেশটির রাজধানী কিয়েভের অভিমুখে রুশ বাহিনী যাত্রা শুরু করে। লক্ষ্য ছিল, কিয়েভ দখল করে নেওয়া। ৪০ কিলোমিটারের বিশাল বহর নিয়ে কিয়েভের নিয়ন্ত্রণ নিতে পুতিনের সেনারা যুদ্ধ শুরু করেন। কিন্তু ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর শক্ত প্রতিরোধের মুখে একসময় পিছু হটতে বাধ্য হয়।

কিয়েভকে ঘিরে রাশিয়ার বাহিনী যে আক্রমণ শুরু করেছিল, তা থেকে সরে পূর্ব ইউক্রেনে মনোনিবেশ ঘটায়। কিয়েভ দখল নিতে ব্যর্থ হয়ে রাশিয়া জানায়, তাদের লক্ষ্য এখন পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চল ও দক্ষিণ ইউক্রেন পুরো নিয়ন্ত্রণে নেওয়া।

পশ্চিমাদের গোয়েন্দা তথ্য অনুসারে, পূর্ব ইউক্রেনেও পুতিনের বাহিনীর অভিযান অনেকটা থমকে গেছে। যে পরিকল্পনা মতো অভিযান অগ্রসর হওয়ার কথা তা এগোয়নি।

গতকাল শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি উপদেষ্টা দেরেক চোলেট বিবিসির কূটনৈতিক সংবাদদাতা জেমস ল্যান্ডেলকে বলেন, ‘রাশিয়া যখন ইউক্রেন আক্রমণ শুরু করেছিল তখনকার চেয়ে এখন দুর্বল।’

দেরেক চোলেট আরও বলেন, রাশিয়ার ইতোমধ্যে কৌশলগত পরাজয় হয়েছে। এছাড়া তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ার অর্থনীতি ‘বিধ্বস্ত’ হয়েছে এবং রাশিয়ার সেনাও কমে গেছে।

এছাড়া পুতিন চেয়েছিল ইউক্রেনে অভিযানের মাধ্যমে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে উৎখাত করে রুশপন্থী কোনো নেতার হাতে ইউক্রেনের দায়িত্ব দেওয়া। সেটা আপাতত অধরাই মনে হচ্ছে। অভিযান শুরুর পর রাশিয়ার পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়, ইউক্রেনের সেনারা যেন আত্মসমর্পণ করে, তবে পুতিনের সেই ডাকে কেউ সাড়া দেয়নি।

ইউক্রেনে যুদ্ধে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেনা হারিয়েছে বলে নিজে স্বীকার করেছে রাশিয়া। যদিও দেশটি পরিসংখ্যানের কথা উল্লেখ করেনি। তবে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে সর্বশেষ দাবি করা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ২৮ হাজারের বেশি রুশ সেনা নিহত হয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.