১৩ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের দায়ে শিক্ষকের যাবজ্জীবন

0 161

ইন্দোনেশিয়ার একটি আবাসিক স্কুলে ১৩ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের দায়ে এক শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। হেরি উইরাওয়ান নামের এই শিক্ষক স্কুলটির মালিক। তার হাতে ১১ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনা গত বছর প্রকাশ হয়ে পড়ে। এতে হতবাক হয়ে যায় ইন্দোনেশিয়ার নাগরিকরা।

ধর্ম শিক্ষক ছিল হেরি উইরাওয়ান। ২০১৬ সাল থেকে তার ধর্ষণের শিকার হতে থাকে মেয়ে শিক্ষার্থীরা। এতে আট শিক্ষার্থী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। এসব শিক্ষার্থী নয়টি সন্তানের জন্ম দেয়। প্রসিকিউটররা অভিযুক্ত শিক্ষকের মৃত্যুদণ্ডের আবেদন জানায়।

তবে মঙ্গলবার বানডং জেলা আদালতের বিচারকদের একটি বেঞ্চ ৩৬ বছরের হেরি উইরাওয়ানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয়। প্রসিকিউটররা রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় তাকে নপুংসক করে দেওয়ার আবেদন জানালেও আদালত তা প্রত্যাখ্যান করে দেয়।

কয়েক বছর ধরে চলা এই নিপীড়নের খবর প্রকাশ্যে আসে গত বছরের মে মাসে। ওই সময় ধর্ষণের শিকার এক শিক্ষার্থীর বাবা-মা দেখতে পান তাদের সন্তান গর্ভবতী হয়ে পড়েছে। পরে আদালত জানতে পারে হেরি উইরাওয়ান ২০১৬ সাল থেকে শিক্ষার্থীদের যৌন নিপীড়ন করে আসছে। ওই সময়ে পশ্চিম জাভার বানডং শহরে একটি ইসলামিক আবাসিক স্কুল চালু করে ওই শিক্ষক।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, প্রসিকিউটররা বলেছেন, উইরাওয়ান বৃত্তি এবং অন্যান্য প্রণোদনা দিয়ে দরিদ্র এলাকার তরুণ শিক্ষার্থীদের তার স্কুলে আকৃষ্ট করতেন। আদালত জানতে পারেন, পরিবার থেকে দূরে থাকায় সহজ শিকার ছিলেন মেয়ে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া তারা নিয়মিত পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারতো না। তাদের মোবাইল ফোন জব্দ করে নেওয়া হতো, আর বছরে একবার বাড়িতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হতো।

প্রসিকিউটররা ওই শিক্ষকের মৃত্যুদণ্ডের কঠোর সাজার পাশাপাশি ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থীদের প্রত্যেককে ২১ হাজার ডলারের বেশি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আবেদন জানায়। তবে ইন্দোনেশিয়ার সরকার প্রত্যেক ভিকটিমকে প্রায় ছয় হাজার ডলার করে ক্ষতিপূরণ দেবে।

সূত্র: বিবিসি

Leave A Reply

Your email address will not be published.