করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বাজারে গেলে যে বিষয় গুলো মানতে হবে

বিশ্বব্যপি করোনাভাইরাসের আতঙ্কে বাংলাদেশেও চলছে লকডাউন। কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পত্র কেনাকাটার জন্য নির্দিষ্ট কিছু দোকানপাট খোলা রাখার অনুমতি দেয়া হয়েছে। যেহেতু আপনাকে প্রয়োজনে হাটে বাজারে যেতেই হবে এজন্য কিছু সাবধানতা অবলম্বন না করলে হয়ে যেতে পারে অনেক বড় বিপদ।

আসুন জেনে নেওয়া যাক এই সময় কী কী বিষয় খেয়াল রাখা অত্যন্ত জরুরী।

দুধ, ডিম, কাঁচা মাংস এবং এই ধরনের অন্যান্য পণ্যগুলো বাজারের ব্যাগে ব্যাকটেরিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। তাই বাজারের ব্যাগগুলোকে নিয়মিত ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে।

এলাকার খোলা বাজারে, সুপারমার্কেটে বা ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে গেলে হাতে কত কিছুরই না ছোঁয়া লেগে যেতে পারে। শপিং কার্ট বা ঝুড়ির হ্যান্ডল থেকেও ব্যাকটেরিয়া বা কোনও জীবানু হাতের মধ্যে লেগে যেতে পারে। সাধারণ মুদি দোকান থেকেও এমনটা হতে পারে। তাই বাজার থেকে ফিরেই সাবান দিয়ে হাত ভালো করে হাত ধুতে হবে।

স্থানীয় খোলা বাজারে যখন শাক-সবজি বা ফল কিনছেন, তখন সেগুলোতে কোনও রকম ফাটা বা গভীর ক্ষত আছে কিনা দিকে নজর রাখুন। যদি থাকে তাহলে ওই সব ফল বা শাক-সবজি না কেনার চেষ্টা করুন। কারণ, ফল বা শাক-সবজির ওই ফাটা অংশেতেই ব্যাকটেরিয়া বা কোনও জীবানু জমে থাকতে পারে।

সুপারমার্কেটে বা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর বা এলাকার মুদি দোকান থেকে প্যাকেটজাত যে কোনও ধরনের পণ্য কেনার সময় সেগুলো ভালো করে দেখে নিন। ওই প্যাকেটগুলির কোনও অংশে ফাটা-ছেঁড়া থাকলে সেগুলো বাতিল করুন।

সুপারমার্কেটে বা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর বা এলাকার মুদি দোকানে যদি কোনও ‘ফ্রি স্যাম্পল’ দেওয়া হয়, সেগুলোর এক্সপায়ারি ডেট দেখে নিতে ভুলবেন না!

ঘরে ফেরার আগেই সাবধান থাকতে হবে যেন ঢুকার পর আপনার আদরের সন্তান বা বাচ্চারা আপনার দিকে দৌড়ে এসে কোলে ওঠে না পরে বা আপনাকে জড়িয়ে না ধরে, প্রয়োজনে বাসার সবাইকে শতর্ক করে দিয়ে তারপর ঘরে ঢুকবেন, বাচ্চাদের দূরে রেখেই আগে পরিষ্কার হয়ে নিবেন।

coronavirus safetyCoronavirus Safety on buying from supermarket
Comments (0)
Add Comment