শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ঢাবিতে হাজারো মোমবাতি প্রজ্বালন


শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শোকে অবনত দেশ। বিনম্র শ্রদ্ধায় সূর্যসন্তানদের স্মরণ করছে জাতি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে জ্বালানো হয় হাজারো মোমবাতি। শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।

এ সময় শিক্ষার্থীরা জানান, মেধাশূন্য করার উদ্দেশ্যে পাকিস্তানি আর তাদের দোসর রাজাকার-আলবদররা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করলেও দেশ উন্নতির শিখরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

বীর বাঙালি যখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে তখন জাতির ভবিষ্যৎকে অন্ধকারে ডুবিয়ে দিতে চেয়েছিল পাকিস্তানি হানাদাররা। রাতের আঁধারে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ মেধাবীদের। সেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে হাজার মোমের আলো।

১৪ ডিসেম্বরের প্রথম প্রহরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফজলুল হক হলের প্রতিটি প্রান্তে জ্বলছিল মোমবাতি। ঠিক রাত ১২টা ১ মিনিটে সব বৈদ্যুতিক লাইন বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে মোমবাতি হাতে শিক্ষক ও ছাত্রনেতারা হলের মধ্যে থাকা শহীদ বেদিতে নীরবতা পালন করেন।

পরে হলের পুকুরে মোমবাতি ভাসিয়ে দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করেন তারা।

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টচার্য বলেন, একাত্তর সালে পাকিস্তানি বাহিনী বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে।

ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ১৪ ডিসেম্বর বাঙালি ইতিহাসে আরেকটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। তারা বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মাধ্যমে এই দেশটি মেধাশূন্য করতে চেয়েছিল কিন্তু তারা সফল হয়নি। আজকে বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতেই এ আয়োজন বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। একই সঙ্গে বিদেশে পালিয়ে থাকা বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিতেরও দাবি জানান তারা।

Comments (0)
Add Comment