জ্বর ও মাথাব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি গৃহবধূর মৃত্যু, লাশ নিয়ে পালিয়েছে স্বজন


জ্বর ও মাথাব্যথায় আক্রান্ত এক গৃহবধূ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার এক ঘণ্টা পর মারা গেছেন। এ ঘটনার পরে নিহতের স্বজনরা লাশ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই নারী মারা যান। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা, তা পরীক্ষা করার জন্য চিকিৎসকেরা নমুনা সংগ্রহ করার প্রস্তুতিকালে স্বজনরা মরদেহ নিয়ে পালিয়ে গেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মুনির আহম্মেদ খান।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের ওই গৃহবধূকে (২৫) তার স্বজনেরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। জ্বর ও প্রচণ্ড মাথাব্যথার কারণে ওই নারী তখন অচেতন ছিলেন।

জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেন। এর এক ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ওই নারীর মৃত্যু করোনাভাইরাসে হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মুনির আহমেদ খান লাশের নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দেন। এমন পরিস্থিতিতে স্বজনেরা এক চিকিৎসকের কাছ থেকে ওই গৃহবধূর মৃত্যুর সনদসহ লাশ নিয়ে পালিয়ে যান। পরে পুলিশ গিয়ে ওই নারীর বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মুনির আহমেদ খান বলেন, ‘জ্বর ও মাথাব্যথা নিয়ে ওই নারী হাসপাতালে এসেছিলেন। তিনি দুই দিন ধরে বাড়িতে অসুস্থ ছিলেন। তার বয়স বিবেচনায় ও শরীয়তপুর প্রবাসী–অধ্যুষিত জেলা হওয়ায় আমরা কোনও ঝুঁকি নিতে চাইনি। তাই তার লাশের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। ওই খবর শুনে তার স্বজনেরা লাশ নিয়ে পালিয়ে যান।

শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের বলেন, ‘করোনাভাইরাস এখন সারা বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশের মানুষও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই ওই–জাতীয় উপসর্গ নিয়ে কেউ অসুস্থ হলে বা মৃত্যুবরণ করলে তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে।’

Comments (0)
Add Comment