করোনা : চিটাগাং চেম্বারের ভর্তুকী মূল্যে ভোগ্যপণ্য বিক্রয় শুরু


করোনা পরিস্থিতিতে ভোক্তা সাধারনের দুর্ভোগ লাঘবের লক্ষ্যে দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি চট্টগ্রাম নগরীতে ভর্তুকী মূল্যে ভোগ্যপণ্য বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করেছে।

১ এপ্রিল থেকে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে ভোগ্যপণ্য বিক্রয়ের এ ভ্রাম্যমান কার্যক্রম চালু করা হয়। করোনা বিস্তার রোধ ও এ সংক্রান্ত সামগ্রীক দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার কর্তৃক দেশব্যাপী আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষনা করা হয়। এই সময়ে সাধারন ও স্বল্প আয়ের ভোক্তাশ্রেণির কষ্ট লাঘবে ভর্তুকী মূল্যে ভোগ্যপণ্য বিক্রয়ের এ কার্যক্রম শুরু করেছে চিটাগাং চেম্বার।

এ কার্যক্রমের আওতায় প্রতি কেজি চাল(আতপ/সিদ্ধ) ২০ টাকা, মসুরের ডাল ৪০ টাকা, আলু ১০ টাকা এবং লবন ১০ টাকা দরে বিক্রী হচ্ছে। দেশব্যাপী সাধারন ছুটি চলাকালীন সময়ে পর্যায়ক্রমে গোলাম রসুল মার্কেট, আলকরণ, কাজীরদেউরী, কালা মিয়া বাজার, দেওয়ান বাজার, ঝাউতলা বাজার, বায়েজিদ(এম আলম সিএনজি)সহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে গাড়ীতে করে চেম্বারের ভ্রাম্যমান এ বিক্রয় কার্যক্রম চলবে।

চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, সিএমপি ও সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেছেন।

তিনি ভোগ্যপণ্য ক্রয়ে আগত ক্রেতা সাধারনকে একে অন্যের থেকে নিরাপদ দূরত্ব নিশ্চিত করাসহ সর্বোপরি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আহ্ববান জানান এবং করোনা সংক্রমন রোধে আরো সচেতন হবার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। চেম্বার সভাপতি দেশের বিত্তবান, ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদেরকেও এ ধরনের কার্যক্র্মে এগিয়ে আসতে উদাত্ত আহ্ববান জানিয়েছেন। একই সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদেরকে কোনরূপ অযৌক্তিক দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, অতীতেও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণ বিতরন, শীতার্তদের সহায়তায় এগিয়ে আসা, রোহিঙ্গা সহায়তাসহ প্রতিবছর রমযানে ভর্তুকী মূল্যে ভোগ্যপণ্য বিক্রয় কার্যক্রম চালিয়ে এসেছে চিটাগাং চেম্বার। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান পরিস্থিতিতেও সাধারন ভোক্তাশ্রেণির দুর্ভোগ লাঘবে এই উদ্যোগ।

Comments (0)
Add Comment