আইএস, আল কায়েদা সম্পর্কিত যে তথ্য গুলু মানুষের কাছে গোপন করা হয়।


১) আমেরিকা প্রায় অর্ধ শতাব্দী ধরে আল কায়েদা বা আইএসকে অর্থ,অস্র এবং প্রশিক্ষন দিচ্ছে।
২) ১৯৮২-১৯৯২ পর্যন্ত সময়ে ৪৩টা দেশের প্রায় ৩৫,০০০ লোককে পাকিস্থানে এনে প্রশিক্ষন দেওয়া হয়েছে।যার জন্য পাকিস্থানে খোলা হয়েছিল প্রশিক্ষন ক্যাম্প।
৩)প্রেসিডেন্ট রিগ্যানের আমল থেকে মুসলিম দেশগুলুতে সন্ত্রাসীদের রিক্রুট এবং প্রশিক্ষন দেওয়া শুরু হয়।
৪)সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উদ্বুদ্ধ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের বই এবং লিফলেট প্রকাশ করা হত ইউনিভার্সিটি অব নেব্রাস্কা,আমেরিকা থেকে।এমনকি আফগানিস্থানের জন্য স্কুলের বই ছাপা হত এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
৫)মাত্র ২২ বছর বয়সে ওসামা বিন লাদেনকে এই নেটওয়ার্কে রিক্রুট করা হয়,সৌদির সহায়তায়।
৬)ইজরায়েলের মোসাদ,ব্রিটেনের এমআই-৬,সৌদি আরবের জেনারেল ইন্টেলিজেন্স প্রেসিডেন্সি,রিয়াসাত আল ইস্তিকবারাত আল আমাহর সাথে মিলে সিআইএ আল কায়েদার এফিলিয়েটেড এনটিটি হিসেবে আইএস সৃষ্টি করে।
৭)এই আইএসকে তার জন্মদাতারা ইরাক এবং সিরিয়া ধ্বংসে কাজে লাগায়।
৮)ন্যাটো এবং তুর্কি হাইকমান্ড আইএস সদস্যদের রিক্রুট,প্রশিক্ষন দিয়ে সিরিয়াতে ঢুকিয়েছে।
৯)আইএস নামে জড়িত ছিল ন্যাট স্পেশাল ফোর্স এবং তাদের গোয়েন্দা দল।
১০)পেন্টাগনের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসীদের জীবাণু অস্রের ব্যবহারের প্রশিক্ষন দেওয়া হয়।
১১)আইএসের চরম অমানবিক কাজ,মাথা কেটে ফেলার মত বিষয়গুলু ছিল তাদের প্রশিক্ষনের অংশ,যেটা দিয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে প্রচারনা চালায় এবং চালাবে।
১২)বেশিরভাগ রিক্রুটেড আইএস সদস্য সাজা প্রাপ্ত অপরাধী, বিশেষ করে সৌদি জেল থেকে যাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে আইএসে যোগদানের শর্তে।
১৩)এই আইএস এবং আল কায়েদা হচ্ছে মোসাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শাখা।
১৪)আইএস,আল কায়েদা হল ন্যাটো এবং তার এলাইদের ফুট সৌলজার,তাদের কাজ হল স্পন্সরদের পক্ষ হয়ে কাজ করা,যে কারনে তারা ধংস করে দিয়েছে সিরিয়া,ইরাক এবং লিবিয়াকে।
১৫)আইএস এবং আল কায়েদা বিরোধি যুদ্ধের নামে পশ্চিম এবং তার সহযোগীদের আসল উদ্দেশ্যে হল এই গোষ্ঠী গুলুকে সাহায্য করা এবং তাদের ধ্বংসের নামে অন্য দেশকে ধ্বংস এবং সামরিক উপস্থিতি বজাই রাখা।
১৬)এগুলুর পিছনের বিশাল ব্যাকআপ হচ্ছে আমেরিকা সিনেটর ম্যাক কেইন।
১৭)আমেরিকা এবং তার এলাইরা ইরাক এবং সিরিয়াতে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গুলুকে লক্ষ্য করে কোন হামলা করে না।তাদের হামলা হল মুলত নিরিহ মানুষ এবং অর্থনৈতিক স্থাপনা লক্ষ্য করে।
১৮)আইএস প্রজেক্ট হল মুলত মধ্যপ্রাচ্যের নতুন মানচিত্রের জন্ম দেওয়া।সুন্নি অঞ্চল,শিয়া অঞ্চল এবং কুর্দি অঞ্চল।
১৯)পশ্চিমের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হল ক্ল্যাশ অব সিভিলাইজেশানের নামে নিমিত্তে পরিচালিত।যেটা মুলত প্রতিযোগিতামূলক মূল্যবোধ ও ধর্মের মধ্যে একটি যুদ্ধ।যেটা কৌশলগত এবং অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য দ্বারা পরিচালিত হয়।
২০)আমেরিকা,আল কায়েদাকে মোতায়েন রেখেছে মালি,নাইজার,নাইজেরিয়া,সোমালিয়া,ইয়েমেন এবং সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে।
২১)পশ্চিমে অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হল সাজানো ঘটনা।এর মাধ্যমে তারা তাদের সপক্ষে নাগরিক স্বাধীনতা হরন করে একটা ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করে।
২২)সন্ত্রাস বিরোধি যুদ্ধের নামে মুসলিম দেশ গুলুকে দানবীয় রুপদানের চেষ্টা।

Courtesy: Mohammed Mostafa Ripon

hidden facts about ISIS and al qaedaISIS is CIA
Comments (0)
Add Comment