পুরুষের সংস্পর্শ ছাড়াই ছানার জন্ম দিল এক কুমারী কুমির, অবাক বিজ্ঞানীরা

অনলাইন ডেস্ক:

এই প্রথম নিজেই নিজেকে গর্ভবতী করেছে এক কুমারী কুমির। এর আগে পাখি, মাছ এবং অন্যান্য সরীসৃপ প্রজাতির মধ্যে স্ব-প্রজননের ঘটনাটি পাওয়া গেলেও কুমিরের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা আগে কখনও দেখা যায়নি।

কোস্টারিকার একটি চিড়িয়াখানায় এই অত্যাশ্চর্য ঘটনাটি ঘটে। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) প্রকাশিত বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে।

বিজ্ঞানীদের দাবি, ছানার জন্ম দেওয়া কুমারী কুমিরটি টানা ১৬ বছর কোনো পুরুষ কুমিরের সংস্পর্শ ছাড়াই একটি সম্পূর্ণ ভ্রূণ তৈরি করতে সক্ষম হয়। ওই ভ্রূণটির সঙ্গে জিনগতভাবে তার ৯৯.৯ শতাংশ মিল রয়েছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ বৈশিষ্ট্যটি একটি বিবর্তনীয় পূর্বপুরুষ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া। এটি থেকে অনুমান করা যায়, ডাইনোসররাও স্ব-প্রজনন করতে সক্ষম হতে পারে।

গবেষণাটি রয়্যাল সোসাইটি জার্নাল, বায়োলজি লেটার্স-এ প্রকাশিত হয়েছে। এভাবে জন্ম দেওয়ার প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় ফ্যাকাল্টেটিভ পার্থেনোজেনেসিস। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি ডিম্বাণু শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত না হয়ে একটি ভ্রূণ হিসেবে বিকশিত হয়।

দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কুমারী অবস্থায় ছানার জন্ম দেওয়া আমেরিকান কুমিরটিকে ২০০২ সালে ২ বছর বয়সে বন্দী করে কোস্টারিকায় একটি চিড়িয়াখানার ঘেরে রাখা হয়েছিল। পরে টানা ১৬ বছর ওই ঘেরে একা একাই অবস্থান করছিল কুমিরটি। ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে চিড়িয়াখানার কর্মচারীরা ঘেরের মধ্যে ১৪টি ডিম আবিষ্কার করেন। ডিমগুলো না ফুটলেও একটিতে সম্পূর্ণরূপে গঠিত ভ্রূণ ছিল। পরে ওই ভ্রূণের জেনেটিক বিশ্লেষণ করে দেখা যায়-এর মধ্যে কোনো পুরুষের সংস্পর্শ নেই।

ওই ভ্রূণ থেকেই কুমিরের ছানাটি সম্প্রতি বেরিয়ে এসেছে।

পার্ক রেপ্টিলানিয়ার বৈজ্ঞানিক দল বেলফাস্টে জন্মগ্রহণকারী ডাঃ ওয়ারেন বুথের সঙ্গে যোগাযোগ করেন যিনি ১১ বছর ধরে কুমারী জন্ম নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি বিবিসিকে জানান, এ ঘটনায় তিনি অবাক হননি। বলেন, আমরা এটি হাঙ্গর, পাখি, সাপ এবং টিকটিকিতে দেখতে পাই এবং এটি উল্লেখযোগ্যভাবে সাধারণ এবং ব্যাপক।

অবাক বিজ্ঞানীরাদেশী টুয়েন্টিফোরপুরুষের সংস্পর্শ ছাড়াই ছানার জন্ম দিল এক কুমারী কুমির
Comments (0)
Add Comment