দুই দফা পিছিয়ে যাওয়ায় সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের হাতে অপশন কেবল একটি। তা হচ্ছে ৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করা।
সোমবার (২৬ জুলাই) ভোটের দুই দিন আগে নির্বাচনের ওপর ৫ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেন হাইকোর্ট। ফলে নির্বাচন কমিশন বিকেলেই ভোট স্থগিত করে।
এ ব্যাপারে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন করোনা ও লকডাউনের কারণে ৫ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। কিন্তু আগস্ট মাস শোকের মাস। এজন্য এ মাসে নির্বাচন না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এ উপনির্বাচন কবে হবে তা নিয়ে দুই-একদিনের মধ্যে বৈঠক করবে ইসি। সেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
জানা যায়, কোনো সংসদীয় আসন শূন্য হলে সংবিধান অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে কোনো দৈব-দুর্বিপাকের কারণে ৯০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণ করতে না পারলে আরও ৯০ দিন সময় পাবে ইসি। এই সময়ের মধ্যেই ভোটগ্রহণ শেষ করতে হবে।
এ বিষয়ে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আমাদের হাতে দৈব-দুর্বিপাকজনিত সময়সহ সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখ পর্যন্ত সময় রয়েছে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার মধ্যে এ সময় শেষ হওয়ার আগেই ভোট করতে হবে। দু-একদিনের মধ্যে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে নেব। তবে শোকের মাস আগস্টকে আমরা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবো। তাই সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ওই আসনের ভোট করা হবে এমন সিদ্ধান্ত কমিশন বৈঠকে আসতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ১১ মার্চ সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ সামাদ চৌধুরী করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মারা যান। তিনি নবম ও দশম সংসদেও এ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
সিলেট-৩ আসনটিতে তিন লাখ ৩০ হাজার ভোটার রয়েছেন। ২৮ জুলাই সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করার কথা ছিল। উচ্চ আদালতের নির্দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে ওই নির্বাচন স্থগিত করা হয়।