চট্টগ্রামে এসেছে সিনোফার্ম ও মডার্নার টিকা

নিজস্ব প্রতিবেদক :

চট্টগ্রামে চতুর্থবারের মতো করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) আরও ১ লাখ ৮৪ হাজার ডোজ টিকা এসেছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি মর্ডানার ১ লাখ ৫ হাজার ৬০০ ডোজ এবং চীনের তৈরি সিনোফার্মের ৭৮ হাজার ৪০০ ডোজ টিকা রয়েছে।

রোববার (১১ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে একটি ফ্রিজার ভ্যানে করে আসা এসব টিকা গ্রহণ করেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। এরপর টিকাগুলো সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই স্টোরে সংরক্ষণ করা হয়। ৩৫ বছরের উর্ধ্বের নাগরিকরা জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন সাপেক্ষে ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবেন।

এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি প্রথম দফায় অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ৪ লাখ ৫৬ হাজার ডোজ, ৯ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় ৩ লাখ ৬ হাজার ডোজ এবং ১৮ জুন সিনোফার্মের তৈরি ৯১ হাজার ২০০ ডোজ করোনার ভ্যাকসিন চট্টগ্রামে আসে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে চট্টগ্রামে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।

জানা যায়, ১২০ কার্টন ভ্যাকসিনের মধ্যে মর্ডানার ২২ কার্টুন ও সিনোফার্মের ৯৮ কার্টুন। মর্ডানার প্রতি কার্টুনে ৪০০ ভায়াল ও প্রতি ভায়ালে ১০ ডোজ করে মোট ১ লাখ ৫ হাজার ৬০০ ডোজ এবং সিনোফার্মের প্রতি কার্টুনে ৪০০ ভায়াল ও প্রতি ভায়ালে ২ ডোজ করে মোট ৭৮ হাজার ৪০০ ডোজ ভ্যাকসিন আছে।
মর্ডানার ভ্যাকসিন মহানগরীর নির্ধারিত ৯টি কেন্দ্রে ও সিনোফার্মের ভ্যাকসিন ১৫ উপজেলায় ইতোমধ্যে নিবন্ধিতদের প্রয়োগ করা হবে।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে চট্টগ্রামে প্রথমবারের মত আমেরিকার তৈরি মর্ডানার ১ লাখ ৫ হাজার ৬০০ ডোজ ও দ্বিতীয়বারের মত চীনের তৈরি সিনোফার্মের ৭৮ হাজার ৪০০ ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পেয়েছি। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রথম দফায় পাওয়া সিনোফার্মের ৯১ হাজার ২০০ ডোজ ভ্যাকসিন থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল কেন্দ্রে নিবন্ধনকারীদের মধ্যে যারা এখনও সিনোফর্মের প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারেননি তাদেরকে আগামীকাল ১২ জুলাইয়ের মধ্যে ভ্যাকসিন প্রদানের মাধ্যমে প্রথম ডোজের কার্যক্রম বন্ধ করা হবে। এর পর দ্বিতীয় ডোজের জন্য ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করা হবে। তবে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে সিনোফার্মের ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম চলমান থাকবে। নতুন করে পাওয়া সিনোফার্মের ৭৮ হাজার ৪০০ ডোজ ভ্যাকসিন কমিটির মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ে বণ্টন করা হবে। জানা যায়, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মর্ডানার ভ্যাকসিন মোট ৯টি কেন্দ্রে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলমান আছে। কেন্দ্রগুলো হলো- চমেক হাসপাতাল, সিটি কর্পোরেশন জেনারেল হাসপাতাল, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ), মোস্তফা হাকিম মাতৃসদন হাসপাতাল, বন্দর হাসপাতাল, সাফা- মোতালেব মাতৃসদন হাসপাতাল, বন্দরটিলা মাতৃসদন হাসপাতাল, বিএনএস পতেঙ্গা ও চট্টগ্রাম বিএএফ জহুর মেডিকেল স্কোয়াডন।

ভ্যাকসিন গ্রহণকালে উপস্থিত ছিলেন ওষুধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক সালমা ছিদ্দিকা, জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট মো. হামিদ আলী, কোল্ড চেইন টেকনিশিয়ান মো. জাফর উল্লাহ, জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) কাজল কান্তি পাল প্রমুখ।

করোনাভাইরাসচট্টগ্রামভ্যাকসিন
Comments (0)
Add Comment