রমজানে মসজিদে নামাজ ও অন্যান্য ইবাদতে ১০টি নির্দেশনা জারি

দেশের করোনা পরিস্থিতিতে পবিত্র রমজান মাসের তারাবির নামাজ, সেহরি ও ইফতার আদায়ে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সেই সাথে আলাদা আলাদা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে মসজিদ কর্তৃপক্ষ, ইমাম, খতিব এবং মুসল্লিদের জন্য। রমজানে মসজিদে ইবাদত ও নামাজে মানতে হবে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি।

সোমবার (৫ এপ্রিল) ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে পবিত্র রমজানে মজিদে ইবাদত, তারাবিসহ, সেহরি ও ইফতার আদায়ের জন্য ১০টি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

এই নির্দেশনার আলোকে দেশের মসজিদগুলোতে জামাতে নামাজ আদায় ও আন্যান্য ইবাদত করতে হবে।  পালন করতে হবে। নির্দশনাগুলো হলো-

১. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।

২. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওযু ও সুন্নাত নামাজ আদায় করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওযু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

৩. মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে, মুসল্লিদের প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে।

৪. কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

৫. শিশু, বয়বৃদ্ধ, যে কোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামাতে অংশগ্রহণ করা হতে বিরত থাকবে হবে।

৬. সংক্রমণ রোধে নিশ্চিতকল্পে মসজিদের ওযুখানায় সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

৭. সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

৮. মসজিদে ইফতার ও সেহরির আয়োজন করা যাবে না।

৯. করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে খতিব ও ইমামরা দোয়া করবেন।

১০. মসিজদের খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলোকে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।

করোনার সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে অনুরোধ করা হয়েছে। নির্দেশনা মানা না হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান ধর্ম মন্ত্রণালয়।

করোনারমজান
Comments (0)
Add Comment