রায়হান হত্যার মূল আসামি এসআই আকবর গ্রেপ্তার

0 455


সিলেট নগরের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান আহমদ নিহতের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত পুলিশের বহিষ্কৃত উপ-পরিদর্শক আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রায়হানের মৃত্যুর একমাসের মাথায় সোমবার দুপুরে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চল লক্ষীপ্রসাদ ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) লুৎফর রহমান।
অপরদিকে সিলেট জেলা পুলিশের সহকারী মিডিয়া কর্মকর্তা ও ডিবির পরিদর্শক সাইফুল আলম বলেন, এসআই আকবরকে সিলেটে আনা হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
সিলেট বন্দর বাজারের পুলিশ হেফাজতে রায়হানের মৃত্যুর প্রধান আসামি এসআই আকবর ভারতের মেঘালয় রাজ্যে পালিয়ে গেছেন বলে এর আগে বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছিল। তবে আজ দুপুরে ভারতে পালানোর সময় সীমান্ত এলাকায় চিনে ফেলে খাশিয়ারা। এরপর খাশিয়াদের সহযোগিতায় আকবরকে গ্রেপ্তার করে সিলেট জেলা পুলিশ।
পুলিশ হেফাজতে রায়হানের মৃত্যুর পর মানববন্ধন মিছিলে আন্দোলনে উত্তাল হয় পুরো সিলেট। আকবরকে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেন স্বররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গত ১০ অক্টোবর শনিবার মধ্যরাতে রায়হানকে নগরীর কাষ্টঘর থেকে ধরে আনে বন্দরবাজার ফাঁড়ি পুলিশ। পরদিন ১১ অক্টোবর ভোরে ওসমানী হাসপাতালে তিনি মারা যান। রায়হানের পরিবারের অভিযোগ, ফাঁড়িতে ধরে এনে রাতভর নির্যাতনের ফলে রায়হান মারা যান। ১১ অক্টোবর রাতেই রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার বাদী হয়ে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন।
শুরুর দিকে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মো. আজাহার আলী শেখের তত্ত্বাবধানে মহানগর পুলিশের তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করে ফাঁড়িতে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়ে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়। এ ঘটনায় ১২ অক্টোবর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করা হয়। এর পর থেকে প্রধান অভিযুক্ত এসআই আকবর পলাতক ছিলেন। তাকে পালানোতে সহায়তা ও তথ্য গোপনের অভিযোগে ২১ অক্টোবর ফাঁড়ির আরেক এসআই হাসানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এদিকে পিবআই এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এদের মধ্যে কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস ও হারুন উর রশিদকে দুই দফায় আটদিন ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আশেক এলাহীকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। তবে তারা কেউ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হননি। এছাড়া রায়হানের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগকারী সাইদুর শেখ নামের এক ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.