চীনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে সীমান্তে এয়ার ডিফেন্স মিসাইল নামাল ভারত

0 146


চীনের সঙ্গে ভারতের বিবাদ যেন কিছুতেই থামছে না। এবার নতুন করে লাদাখে সামরিক পরিকাঠামো গড়ে তুলছে চীন। এর মধ্যে আকসাই চীন ও দৌলত বেগ ওল্ডি সীমানার কাছে চীনা সেনাদের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। আর সে কারণেই লাদাখের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় নিরাপত্তা বেষ্টনী আরোও জোরদার করার জন্য অতিরিক্ত ৩০ হাজার সেনা পাঠিয়েছে ভারত।

সাউথ এশিয়ার নিউজ এজেন্সি এএনআই এর একটি প্রতিবেদনে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে। শুধু অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেই চুপ নেই, এবার ভারতীয় সেনা বাহিনীর শক্তি বাড়ানোর জন্য ‘ইগলা এয়ার ডিফেন্স’ সিস্টেম মোতায়েন করা হয়েছে লাদাখে। এই সিস্টেমকে কাঁধে নিয়েই স্থলপথে হোক বা আকাশ পথেই হোক শত্রুকে লক্ষ্য করে নিখুঁত নিশানায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করা যাবে।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ‘‌লাদাখকে নিজেদের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার মধ্যে নিয়ে আসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু জায়গায় রাশিয়ায় তৈরি ইগলা এস এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম-সহ সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। যদি কোন বিমান ভারতের আকাশ সীমায় ঢুকে পড়লে তাহলে সেটা প্রতিহত করবে এই মিসাইল।’

রাশিয়ার প্রযুক্তিতে তৈরি এই ইগলা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। এটি কাঁধে নিয়েই চালাতে পারেন সেনা সদস্যরা। ভারতীয় সেনা বাহিনী ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ব্যবহার করে। সেনাঘাঁটির কাছাকাছি শত্রুপক্ষের হেলিকপ্টার বা যুদ্ধবিমান চলে এলে খুব তাড়াতাড়ি প্রতিপক্ষকে ঠেকাতে ইগলা ব্যবহার করেন সেনারা। ধ্বংস করা যায় প্রতিপক্ষের ফাইটার বিমান বা হেলিকপ্টারকে। স্থলপথে আসা শত্রুদেশের সেনার ওপর যেমন হামলা চালানো যায়, তেমনই ভূমি থেকে আকাশেও মিসাইল ছোঁড়া যায়।

এর আরেকটি সুবিধা হল, সেনা সদস্যরা কাঁধে করেই বয়ে নিয়ে যেতে পারেন এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। ১৯৮১ সাল থেকে রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে রয়েছে ইগলা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। আসলে ইগলা–এস মিসাইল অনেকটাই উন্নত। এমনকি রাতের অন্ধকারেও শত্রুপক্ষের ওপরে হামলা চালানো যায় এই এয়ার সিস্টেম দিয়ে।

ভারতের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত চীনকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দেয়ে বলেছেন, চীন যতই লাদাখে সেনা ও সামরিক বহর মোতায়েন করুক না কেন, ভারতের এলাকায় ঢুকতে এলে যোগ্য জবাব দেবে ভারতীয় সেনারা। শুধু মুখে বলা নয়, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ইতিমধ্যে কুইক রিঅ্যাকশন সারফেস টু এয়ার মিসাইল মোতায়েন করেছে ভারত। এর সাথে নামানো হয়েছে রাশিয়ার থেকে কেনা অত্যাধুনিক টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাংক ও আলট্রা-লাইট হাউইৎজার কামান।

এছাড়াও চীনা সেনাদের গতিবিধির ওপর নজরে রাখতে সব সময় টহল দিচ্ছে ভারতের লড়াকু বিমান সুখোই-৩০, মিগ-২৯ ফাইটার জেটের নতুন ভার্সন, মিরাজ-২০০০ ফাইটার এয়ারক্রাফট। ইতিমধ্যে চলে এসেছে রাফালেও। সব মিলিয়ে চীনকে উপযুক্ত জবাব দিতে পুরোপুরি প্রস্তুত ভারত।

Leave A Reply

Your email address will not be published.