করোনাভাইরাস: মৃত্যু ৮৪ জন, আক্রান্ত বেড়ে ২১৪৪

0 393


একদিনে আরও ৯ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে নভেল করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮৪ জন।

শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২১১৪টি নমুনা পরীক্ষা করে আরও ৩০৬ জনের মধ্যে এ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা বেড়ে ২১৪৪ জন হয়েছে।

গত এক দিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ৮ জন। এ পর্যন্ত মোট ৬৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান– আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, “এটা আমাদের জন্য দুঃখের যে প্রতিদিনই আমরা কাউকে না কাউকে হারাচ্ছি। আমরা তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।”

আক্রান্তদের মধ্যে ৫৬৪ জন হাসপাতালে থেকে এবং বাকিরা বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানান আইইডিসিআর পরিচালক।

তিনি বলেন, “যারা হাসপাতালে আছেন তাদের মধ্যে ১১ জন আছেন আইসিইউতে। বাকি সবার অবস্থা মোটামুটি স্থিতিশীল।

আর যারা বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তারা আইইডিসিআরের হটলাইনে যোগাযোগ করছেন। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং আইইডিসিআরের কর্মকর্তারা তাদের স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দিচ্ছেন বলে জানান ফ্লোরা।

আক্রান্তদের তথ্য বিশ্লেষণ করে তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত হয়েছেন ২১ থেকে ৩০ বয়সীরা, যা মোট আক্রান্তের ২৭ শতাংশ। এছাড়া ২২ শতাংশের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে; ১৯ শতাংশের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে।

আর যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে চারজনের বয়স ৬০ বছেরের বেশি। একজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, দুইজন ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, একজন ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। তাদের মধ্যে ৬ জন ঢাকার; দুজন নারায়ণগঞ্জের এবং একজন সাভারের।

আইইডিসিআরের পরিচালক বলেন, নতুন সংক্রমিতদের মধ্যে ৬২ শতাংশ পুরুষ, ৩৮ শতাংশ নারী। জেলাভিত্তিক হিসাবে এখনও ঢাকা শহরে রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

আরও তিনটি জেলাকে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের নতুন কেন্দ্র হিসেবে দেখা হচ্ছে জানিয়ে ডা. ফ্লোরা বলেন, “নতুন সংক্রমণের এলাকা হিসেবে গাজীপুর দেখতে পাচ্ছি। গাজীপুরে যেসব রোগী পাওয়া যাচ্ছে তাদের বেশিরভাগ নারায়ণগঞ্জ থেকে সংক্রমিত হয়েছেন। গাজীপুরের পরে নরসিংদীতে সংক্রমণের সংখ্যা বেশি। এছাড়া কিশোগঞ্জেও নতুন করে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বেশি পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে।”

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এবং পরিচালক (মেডিকেল ইনফরমেশন সার্ভিসেস) ডা. হাবিবুর রহমানও অংশ নেন বুলেটিনে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.