ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে এক তরুণী লকডাউনে ৬০ কি.মি. হেঁটে গেল প্রেমিকের কাছে !

0 181


দেশজুড়ে চলছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ২১ দিনের লকডাউন, কিন্তু এরই মাঝে প্রেমিককে বিয়ে করতে প্রায় ৬০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে গেলেন এক তরুণী! এমন এক কাণ্ড বলা যেতে পারে ‘লাভ ইন দ্য টাইম অফ করোনা এটি ঘটেছে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে।
১৯ বছরের ওই তরুণীর নাম চিটিকলা ভবানী। তার বাড়ি অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা জেলার হনুমান জংশন এলাকায়। আর প্রেমিক সাই পুন্নায়া থাকেন এডেপল্লী গ্রামে। যে গ্রামটি ভবানীর বাড়ি থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে।
দু’জনের সম্পর্ক গড়ে ওঠে চার বছর দরে । কিন্তু এত দিন পরিবারের কেউ কিছু জানতেন না। সম্প্রতি বাড়িতে নিজেদের সম্পর্কের কথা জানান দু’জনে। কিন্তু সে কথা জানার পর মোটেও খুশি হননি বাড়ির লোকেরা। বিশেষ করে ভবানীর পরিবারের তীব্র আপত্তি ছিল এই বিয়েতে। সাই পুন্নায়াকে মোটেও পছন্দ হয়নি তাদের। এরপরই পালিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন এই প্রেমিক যুগল।
সেই মতো সব পরিকল্পনা করে ফেলেন। কিন্তু বাঁধ সাধে করোনার প্রাদুর্ভাব। প্রেমিক যুগলের প্ল্যান সফল হওয়ার আগেই লকডাউন জারি হয়ে যায় ভারতজুড়ে। বিপদে পড়লেও পিছিয়ে আসেননি ভবানী। ঠিক করেন, শেষ করেই ছাড়বেন ভালোবাসার এই যাত্রা। তাই একদিন রওনা দেন বাড়ি থেকে। তার পর প্রায় ৬০ কিলোমিটার পথ পুরোটাই পায়ে হেঁটে পৌঁছান প্রেমিকের গ্রামে। যেখানে ফের দেখা হয় দু’জনের। বিরহের অবসান হয়ে মিলন হয় যুগলের। শেষমেশ বিয়ে করে ফেলেন তারা। এই গল্পের ক্লাইম্যাক্সও অনবদ্য।
কারণ বিয়েতেই ‘হ্যাপি এন্ডিং’ ঘটেনি। ভবানীর পরিবার দু’জনকে হুমকি দেয়, ভয় দেখায়। বাধ্য হয়ে স্থানীয় থানায় পুরো ঘটনা জানিয়ে নিরাপত্তার আর্জি জানান তারা। দু’জনেই সাবালক হওয়ায় ভবানীর পরিবারকে ডেকে পাঠায় পুলিশ। এর পরই পুরো ঘটনা জানাজানি হয়।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘শুক্রবার সকালে এক নবদম্পতি আমাদের কাছে আসে নিরাপত্তার আর্জি নিয়ে। জানতে পারি, তরুণী বিয়ে করার জন্য এতটা রাস্তা হেঁটে এসেছেন। দুজনেই সাবালক, তাই পরিবারের অভিযোগের বিরুদ্ধে কোনও আইনি ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব নয়। উভয় পরিবারকে থানায় ডেকে কাউন্সেলিং করা হয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.