যৌন হয়রানি: পিটিআইয়ের চার প্রশিক্ষককে প্রত্যাহারের সুপারিশ

0 141

চট্টগ্রামের পটিয়ায় যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠা প্রাইমারি ট্রেনিং ইনষ্টিটিউটের (পিটিআই) চার প্রশিক্ষককে প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন। দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস পেয়ে প্রশিক্ষণার্থীরা তাদের আন্দোলন স্থগিত করেছে। সোমবার থেকে তারা পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

এর আগে রোববার বিকালে পটিয়ায় পিটিআই ক্যাম্পাসে যান প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরিচালক সোলতান মিয়া, সহকারী পরিচালক রাশেদা বেগম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম। পরে পিটিআইয়ের সুপারিনটেনডেন্ট এবং প্রশিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা দেয়া হয়।

আন্দোলনকারী প্রশিক্ষণার্থী সাইদ হোসেন বলেন, যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠা চার শিক্ষককে প্রত্যাহার করে নেয়ার দাবি মেনে নেওয়ার প্রেক্ষিতে আমরা আন্দোলন স্থগিত করেছি। সোমবার থেকে আমরা ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নেব।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরিচালক সোলতান মিয়া বলেন, আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে যে যৌন হয়রানির অভিযোগ এসেছে তাদেরকে আগামি রোববারের মধ্যে পটিয়ার পিটিআই থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। প্রত্যাহারের জন্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হবে। এরমধ্যে চার শিক্ষককে ক্লাস থেকে বিরত রাখা হবে।

এদিকে, পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আন্দোলরত ২৮০ জন প্রশিক্ষণার্থী।এসময় আন্দোলরত প্রশিক্ষনার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাইদ হোসেন, রাজেশ চৌধুরী, অসীম ঘোষ, সুষ্মি চৌধুরী, সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।

লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে পটিয়ার সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা জাহান উপমা জানান, তদন্ত কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম নগরের কালামিয়া বাজারের ভাড়া বাসায় পটিয়া পিটিআইয়ের চার প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণার্থীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে অভিযোগ করেও প্রতিকার না পাওয়ায় গত শনিবার ভোরে ৩০টি ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান পিটিআই প্রশিক্ষক দেবব্রত বড়ুয়া দেবু। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম নগরের রয়েল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

অভিযুক্তরা হলেন, ফারুক হোসেন (শারীরিক শিক্ষা), জসিম উদ্দীন (সাধারণ), রবিউল ইসলাম (আইসিটি) এবং সবুজ কান্তি আচার্য্য (চারু ও কারুকলা)। এ ঘটনার পর গত শনিবার সকাল থেকে প্রশিক্ষণার্থীরা ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ শুরু করে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.