ক্ষুদ্র আয়ে ভাসমান জীবনের গল্প

0 156

দিনটি খুব শুভ ছিল না মন খারাপ নিয়েই বেড়িয়ে পড়লাম। হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে গেলাম সিআরবি শিরীষতলায়। গ্রীষ্মের এই গরমে ক্লান্ত দুপুরে সিআরবির বিশাল বটবৃক্ষের নিচে খারাপ যাচ্ছিলো না দিনটি।

হঠাৎ তৃষ্ণার্থ মন পানি চাওয়ায় পৌঁছে গেলাম এক শরবত বিক্রেতার কাছে। সেখানে দেখতে পেলাম কিছু সংখ্যক ক্ষুদ্র ভাসমান ব্যবসায়ী জীবনের তাড়োনায় নেমে পড়েছে বিভিন্ন মাধ্যম নিয়ে। তাদের মধ্যে কেউ নিয়ে বসেছে আইসক্রিম, কেউ বা মৌসুমি ফল কিংবা শরবতের পসরা নিয়ে।

মধ্য দুপুরে এক শরবত বিক্রেতার সাথে কথা বললে তিনি জানায়, সকালে থেকেই এখানে এসে বসে থাকি, দুই চার পয়সা বেচা-বিক্রীর জন্য। এই টাকা দিয়া সংসার চালাই।

অন্যদিকে আইসক্রিম বিক্রেতা সমীর জানান, তিনি ১৯৮৮ সালে এসএসসি ও ১৯৯০ সালে এইচএসসি পাশ করে চট্টগ্রামে পাড়ি জমান। অনেক জায়গায় চাকুরির চেষ্টা চালালেও সক্ষম হয়ে উঠে নি তার প্রচেষ্টা।
প্রথম অবস্থায় তিনি বাদাম বিক্রির মাধ্যমে তার জীবন পরিচালনা করেন। এই ক্ষুদ্র ব্যবসা হতে তিনি এখন আইসক্রিমের ভ্যান নিয়ে পথে পথে রিজিকের সন্ধানে ঘুরে বেড়ান। চলান স্ত্রীসহ তিন ছেলে ও এক মেয়ের সাথে জীবন সংসার।

কথা বলার এক পর্যায়ে সমীর আলী জানান, এভাবে আমাদের কষ্টের পর কষ্টের মধ্য দিয়ে জীবন পার হয়। আমরা মননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট সহায়তা চাই। যাতে আমরা সুন্দরভাবে থাকতে পারি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.